খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গুলিভর্তি পিস্তলসহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী আটকের পরও কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার ঘটনায় উত্তরা জোনের তৎকালীন ডিসি (বর্তমানে হবিগঞ্জের এসপি) বিধান ত্রিপুরাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে হাজির হয়ে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
২৪ জানুয়ারি ফরহাদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি পত্রিকায় প্রকাশ পায় ১০ ডিসেম্বর। ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত খবরটি আমি আদালতের নজরে আনি।
আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ রুল জারি করে আদালত পুলিশের উত্তরা জোনের উপ-কমিশনার বিধান ত্রিপুরা, বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর-ই-আজম মিয়া ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত সাহাকে ১৫ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেন। পাশাপাশি বিমানবন্দর থানার ওসি ও এসআইকে ২২ জানুয়ারি তলব করেন।
কিন্তু ওইদিন স্বরস্বতী পূজার কারণে আদালতে ছুটি ঘোষণা করায় আজ তারা হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওইদিন আদালত দুই পুলিশকে ভৎসনা করে ৩০ জানুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন। সে অনুসারে আজ আদালত বিধান ত্রিপুরাকে তলব করেন।
২৪ জানুয়ারি আদালত বলেছেন, বিমানবন্দর হচ্ছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকা এবং সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা। ওখানে আপনি অস্ত্র নিয়ে যাবেন কেন? আরেকটি বিষয় পুলিশ অস্ত্রের লাইসেন্স যাচাই না করেই আসামিকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। অন্য কেউ হলে পুলিশ এভাবে ছেড়ে দিতো কিনা?
ওই ঘটনার পর এসআই সুকান্তর বোন ফারমার্স ব্যাংকে চাকরি পান। এ ঘটনা উল্লেখ করে আদালত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ভৎসনা করে বলেন, তাহলে কনসিকোয়েন্টা কী দাঁড়ালো? এ ঘটনার পরই আপনার বোনের চাকরি হয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ