পাবনা ব্যুরো: নির্মাণাধীন পাবনা-ঈশ্বরদী রেলপথে প্রথম পরীক্ষামুলক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে উচ্ছসিত পাবনার সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পরীক্ষামুলক ট্রেনটি বেলা পৌনে ১১টায় পাবনা ষ্টেশনে পৌঁছায়। এ সময় জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালো ট্রেনে আসা রেল কর্মকর্তাদের স্বাগত জানান।
রেল কর্মকর্তারা জানান, ঘন্টায় ৯৬ কিলোমিটার গতিতে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা আসতে পরীক্ষামূলক ট্রেনেটির সময় লেগেছে ৪০ মিনিটের কিছু বেশী। এদিকে ট্রেন পাবনার বাইপাসে এসে পৌঁছার পর সাধারন মানুষের উচ্ছাসে এক আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এই এলাকা দিয়ে চলবে ট্রেন। আর তাই মানুষের উপস্থিতি ছিলো লক্ষনীয়।
মাজগ্রাম-ঢালারচর রেলপথ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সুবক্তগীন জানান, ঈশ্বরদীর মাজগ্রাম থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার রেলপথ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মান ও আনুষাঙ্গিক কাজ শেষে আজ পরীক্ষামুলক ট্রেন চালানো হলো। আগামী জানুয়ারী মাসে পাবনা-ঈশ্বরদী রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গগত: ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে পাবনা শহরের টাউন হল মুক্তমঞ্চ মাঠে এক ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পাবনার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন, আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে এই রেলালাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পাবনার বাসীর প্রাণের দাবি এ রেলপথ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। এ সময় নকশার কিছুটা পরিবর্তন এনে রেলপথটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নিবার্হী কমিটির (একনেক) এর বৈঠকে এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৯৮২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। ২০১৩ সালে ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ