পাবনা ব্যুরো: পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভুক্তভোগী হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের দিকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক। পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উৎসব বোনাস এর টাকা দিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করেন তিনি।
সোমবার (২৩ মার্চ) সকাল বেলা ১১টায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে বিভিন্ন প্লাটফর্ম ঘুরে জংশন স্টেশনের দেড় শতাধিক চায়ের দোকাদার, দিনমজুর কুলিও চুক্তিভিত্তিতে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, দুই কেজি আলু, দু’টি সাবান ও একটি মাস্ক।
এ সময় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হকের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন, পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন, প্রকৌশলী-১ মনিরুজ্জামান মনির, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিষ কুমার মন্ডল, বিভাগীয় সংকেত টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্ত, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজাউর রহমান, রেলওয়ে জিআর আরপি থানার গোপাল কুমারসহ দায়িত্বরত রেলওয়ের কর্মচারীরা।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের দুই নাম্বার প্লাটফর্মে বসে পানের দোকান দেয়া হাবিব উদ্দিন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, দিনরাত মিলে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা আয় হতো। আর এখন এখন পাঁচশো টাকা ইনকাম করা কঠিন। এই দূঃসময়ে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তারা যে খাদ্য সামগ্রী দিলেন তা খুবই ভাল কাজ।
চায়ের দোকানদার খাইরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে এমন সময় আমরা পার করছি যে, আমাদের এক কেজি চাল কেনার সামর্থ্য নেই। পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, দুই কেজি আলু, ২টি সাবান অন্তত ৩/৪ দিন চলতে পারবো।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আসাদুল হক জানান, করোনার প্রভাবে ২৬ মার্চ থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। যারা মুলত দিন এনে দিন খায়, তাদের দোকান বন্ধ থাকার কারণে অনেক কষ্টে আছে। এরা অভাবে থাকলেও কাউকেই কিছু বলতে পারে না। তাই পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তাদের উদ্যোগে স্বল্প একটু সহযোগীতা করা হলো। একটু হলেও তাদের উপকার হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই