পাবনা প্রতিনিধি:
নিজ বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় ‘প্রেমিকা’সহ পাবনার ঈশ্বরদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম শাওনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে ঈশ্বরদী শহরের ঈদগাহ্ রোডস্থ শাওনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আটক শাওন ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, বাড়িতে কেউ না থাকায় মাঝে মধ্যেই ছাত্রলীগ নেতা শাওন বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ করতো। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বাবা-মা ও বোন বাড়ির বাইরে গেলে শাওন তার প্রেমিকা ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার এক ছাত্রী (১৮) কে তার বাড়িতে নিয়ে এসে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়।
বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা শাওনের বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকির এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা শাওন ‘লুঙ্গি’ পরা অবস্থায় বের হলে তাকে হাতে-নাতে আটক করে। সে সময় শাওন উপস্থিত স্থানীয়দের ‘দেখে নেয়া’র হুমকি দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত এলাকাবাসী, সাংবাদিক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। প্রায় তিন ঘন্টা নানা নাটকীয়তা শেষে শাওন ও কলেজ ছাত্রী নদীকে থানায় আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাওন সাংবাদিকদের জানান, মেয়েটি তার বান্ধবী। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করে। মেয়েটি তার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো। তার সাথে অন্যকোন সম্পর্ক নেই। তবে তার প্রেমিকা ওই ছাত্রীর দাবি, শাওনের সাথে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, এর আগেও সে শাওনের বাড়িতে এসেছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্রিবত। শাওন দোষী হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করার অপরাধে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ছাত্রলীগ নেতা শাওন ও তার বান্ধবীকে আটক করে পাবনা জেল জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদীর আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওসি।