রাশেদুল ইসলাম ,নাটোর থেকে: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নাটোরের বিপণী বিতান গুলোতে সব বয়সী নারী-পুরুষরা ক্রেতারা শেষ সময়ে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে । এ বছর ভারতীয় পোশাকের চেয়ে দেশি পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানান নাটোরে গার্মেন্ট্স ব্যবসায়ীরা। দাম হাতের নাগালে থাকায় ক্রেতারা কিনছে হরহামেশেই রকমারী পোশাক।
নাটোরের মন্দির মার্কেটের চন্দা গার্মেন্ট্স মালিক নন্দন কুমার বলেন, এবছর টিসু কাপড়ের গ্রাউন, গ্রাউন ফ্রগ, গ্রাউন থ্রী-পিস, শুইচ কটন গ্রাউন ওয়ান পিস ফ্রগ এমন সব বাহারি নামের পোশাষ শোভা পাচ্ছে নাটোরের বিপণী বিতানে।
এবছর ভারতীয় পোশাকের চেয়ে দেশী পোশাকে ভরে গেছে মার্কেট গুলোতে। ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে এবারের ঈদে নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাষ সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা। শেষ সমমে বিপণী বিতানে চলছে বিক্রেয় উৎসব সকাল থেকে মধ্যে রাত অবধি ।
ছায়াবাণী সিনেমা হল মার্কেটের সাওদা গার্মেন্ট্স মালিক স্বপন কবিরাজ জানান, গরিব কেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে ফুটপাতে বিভিন্ন রকমের শার্ট, প্যান্ট, ছোট বাচ্চাদের জামা কম দামে বিক্রয় করছি। কারণ আমাদের দোকানে এসি নাই, দোকানে শ্রমিক কম তাই খরচ কম। এসকল কারণে আমরা সামান্ন লাভে কাপড় বিক্রয় করি। বড় দোকাণে ওদের এসি চালায়, শ্রমিক বেশি তাই খরচ বেশি এই কারণে ওদের দোকানে প্রতিটি কাপড়ের দাম বেশি নেয় ,সেদিক বিবেচনা করে আমাদের ফুটপাতে
দোকানগুলোতে প্রতিটি পণ্যের দাম কম রাখি কিন্তু একই থ্রী-পিসের দাম আমরা রাখে ৬ থেকে ৮ শত টাকা কিন্তু বড় দোকানে একই থ্রী-পিসের দাম রাখে ১২শ টাকা থেকে ১৫ টাকা। তবে হাতের নাগালেই রয়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা স্বপন কবিরাজ। তিনি আরো জানান বাহারি পোশাকে ছেয়ে গেছে নাটোরের মন্দির মার্কেট, সাদেক কমপ্লেক্্র ,মাওলা ক্লোথ স্টোর, কমলা সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন ছোট বড় দোকান গুলোতে।
কমলা সুপার মার্কেটের রিংকু গার্মেন্ট্স মালিক মোঃ রিংকু জানান ,এবারের ঈদে সব বয়সীদের পাশাপাশি তরুনীরা বেশি প্রাধন্য দিচ্ছে দেশিও কাপড় টিসু কাপড়ের গ্রাউন, গ্রাউন থ্রী-পিস। সর্বনিম্ন ১৫শত থেকে ২৫শত টাকা পর্যন্ত টিসু কাপড়ের গ্রাউন থ্রী-পিস বিক্রি হচ্ছে নাটোরের মার্কেগুলোতে।
কমলা সুপার মার্কেটের গার্মেন্ট্স মালিক মিজানুর রহমান মিজান জানান, ঈদ উপলক্ষে এবছর ছেলেদের বিভিন্ন ধরণের প্যান্ট ,শার্ট উঠেছে মার্কেটে। দেশি ও ইন্ডিয়ান ও চায়না পোশাকে ভরপুর দোকাক গুলো । এসব প্যান্ট শার্টের দাম ৫শত থেকে ২ হাজার ৩হাজার পর্যন্ত। এছাড়া অন্যান্য সব পোষাকের দামও হাতের নাগালে। যে যার চাহিদা মতো পছন্দের পোশাক কিনছেন। এবারের ঈদ গরমের মধ্যে হওয়ায় হালকা এবং কালার ফুল পোশাক কিনছেন ক্রেতারা।
এদিকে মেয়েরা তাদের পছন্দের পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে জুতা , সেন্ডেল, চুড়ি ,কানের দুল, লিপিষ্টিকসহ নানা ধরণের পণ্য কিনছেন।
ট্রাফিকমোড় এলাকার নাজ সুজ দোকানের মালিক শফিকুল ইসলাম জানান , জুতা সেন্ডেলের দোকানে ভির করছে সব বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরা, কেউ জুতা কিনছে, কেউ সেন্ডেল কিনছে আর মেয়েরা পোশাকের সাথে মেচিং করে হিল ও সেন্ডেল কিনছে।
এদিকে দরজি বাড়ি গুলোতে কট কট খট খট শব্দে মুখরিত দিন রাত পোশাক তৈরির কাজে। সময় মত শার্ট, প্যার্ন্ট, থ্রী-পিসে ওয়ার্ডার গ্রাহকে প্রদান করার জন্য ট্রেইলার্স গুলোতে কারিগরদের চওড়া দাম দিতে হচ্ছে।
খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন