নিজস্ব প্রতিবেদক, খবর ২৪ ঘণ্টা:
পবিত্র ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে রাজশাহী মহানগরীতে এবারে সিল্কে মজেছে রমণীদের মন। অন্যান্য পোশাক কেনার পাশাপাশি নারীরা সিল্কের পোশাক কিন্ত ব্যস্ত সময় পার কিনছেন। এ জন্য ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত এখন সিল্ক পাড়া। আর এই চাহিদা পুরণের জন্য সব বয়সি নারীরা ছুটছেন সিল্কের শোরুমে।
সপুরা বিসিক এলাকার বিভিন্ন সিল্ক শোরুমে ঘুরে দেখা য়ায়, শোরুমে সিল্কের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে। এরমধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সদর আলীর সপুরা সিল্ক। এই শিল্কের শোরুমে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপরা ভীর। সপুরা সিল্কে ক্রেতাদের পছন্দের পোশাক থাকায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন সেখানে। সপুরা সিল্ক মিল্স লিঃ দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপরা ভীর। ছোট বড় সব ধরনের ক্রেতারা তাদের পছন্দমত পোষাক ক্রয় করছেন।
শোরুমে বিভিন্ন আইটেমের পোশাকের মূল্য এবং কোয়ালিটি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেখানকার ম্যানেজার সাইদুর রহমান বলেন, সপুরা শিল্কের শাড়ী থেকে প্রতিটি পোশাক অতিযন্তসহকারে কোয়ালিটি নিশ্চিৎ করে তৈরী করা হয়। তিনি বলেন এখানে শাড়ীর মধ্যে রয়েছে সপ্ট সিল্ক যার মূল্য প্রতিটি ১৬৫০ থেকে ৯৭০০ টাকা, বলাকা কন্টাস্ট প্রতিটি ৪২০০ থেকে ৪৯০০ টাক, মসলিম সিল্ক প্রতিটি ৫৭৫০ থেকে ১০,৮০০ টাকা, ষ্টিজ শাড়ী ৭৮০০ থেকে ১৪৮০০ টাকা, এনডি শাড়ী ৩৭০০ থেকে ৪৮০০ টাকা ও দুবিয়ান এর মূল্য প্রতিটির ৫০৫০ থেকে ৫৩০০ টাকা।
পাঞ্জাবীর মধে রয়েছে বলাকা সিল্ক, এনডি সিল্ক, দুবিয়ান সিল্ক ও তশর যার বাজার মূল্য এবারে চলছে ৩০০০ থেকে ৫০০০টাকা পর্যন্ত। শার্টের মধ্যে রয়েছে এনডি সিল্ক শার্ট ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা, বলাকা সিল্ক শার্ট ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা ও দুবিয়ান সিল্ক শার্ট প্রতিটির মূল্য ১৩৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা। এছাড়াও নারীদের সিল্কের স্কার্প, হিজাব ও ওড়নার প্রতিটির মূল্য ৭৫০ থেকে ২৩০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে বলে সাইদুর উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, মেয়েদের সিল্কের থ্রীপিচের মধ্যে রয়েছে বলাকা যার প্রতিটির মূল্য ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, এনডি যার মূল্য ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা, মসলিম ৪৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা ও দুবিয়ান সিল্ক এর থ্রীপিচ প্রতিটি হচ্ছে ৪৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা পর্যন্ত। সেই সাথে শোরুমে সিল্কের ৩৫০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে টাই পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন এবারের ঈদে মসলিম শাড়ী সবার শীর্ষে রয়েছে। এর চাহিদা সকল বয়সী নারীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ক্রেতাদের নিরাপত্তা ঠান্ডায় পোশাক ক্রয় করার জন্য সব শোরুম সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও এসি‘র ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে সপুরা সিল্কের শোরুমে নিজের ও পরিবারে পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে আসা ব্যবসায়ী মেসবাহ উদ্দীন বলেন তিনি পরিবারের প্রয়োজনীয় সকল কাপড় এবং পোশাক এই শোরুম থেকে ক্রয় করেন। দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখানকার পণ্যের কোয়ালিটি ভাল বিধায় মূল্য কোন সমস্যা নয়। তারা সঠিক দাম নেন বলে তিনি জানান। তবে অনেক সময়ে তাদের সাধ্যের মধ্যে থাকেনা বলেও জানান। এছাড়াও ক্রেতা জুয়ের, তাসফিয়া ও ইফতেখায়ের বলেন সপুরাতে অনেক সিল্কের শোরুম এর মধ্যে সপুরা সিল্কে কোয়ালিটি ও ন্যায্য মূল্যে পছন্দের পোশাক ক্রয় করা য়ায়।
তারা প্রতিবছর এই শোরুম থেকে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ক্রয় করেন বলে জানান। দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তারাও বলেন আসল সিল্কের দাম অন্যান্য সিল্কের থেকে একটু বেশীই হয়। দাম কোন বিষয় নয় কোয়ালিটি হচ্ছে মূখ্য। এছাড়া শোরুমে সিল্ক বাদেও সকল বয়সী নারী পুরুষ ও শিশুদের জন্য কটনের পোশাক রয়েছে। সেইসাথে লেদার, কসমেটিক ও বেবীসেট ন্যায্য মুল্যে শোরুম থেকে ক্রেতারা সংগ্রহ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন ক্রেতাদের কথা বিবেচান করে সপুরা সিল্ক মিল্স লিঃ কর্তৃপক্ষ একই বিল্ডিং এর ছাদের নিচে হরেক রমক পোশাকের সমাহার ঘটিয়েছেন। এতে করে ক্রেতারা এ দোকান ও দোকান ঘুরে বেড়ানো থেকে রেহাই পাচ্ছে বলে তিনি জানান।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে