ওমর ফারুক, খবর ২৪ ঘণ্টা:
পবিত্র ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে ইমিটেশনের গয়নাসহ অন্যান্য জিনিস কিনতে কমমেটিকস’র দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর মার্কেটগুলোতে বিরতিহীনভাবে চলছে কেনাবেচা। ক্রেতাদের সঙ্গে পণ্যের গুণাগুণ ও দরদাম করতে করতে বিক্রেতারা হাফিয়ে উঠছেন।
নতুন জামাকাপড়ের সঙ্গে নতুন গহনা অঙ্গসজ্জায় অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। আর তার সঙ্গে চাই প্রসাধনী। আর ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য নারীরা মার্কেটগুলোতে ছুটছেন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন কসমেটিকস দোকানে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সি নারীদের ভিড়। তারা কিনছেন কানের দুল, লিপস্টিক, গলার হার, আলতা, ব্রেসলেট, পারফিউমসহ ইমিটেশনের বিভিন্ন গয়না।
নগরীর বড় বড় মার্কেটগুলোতে কসমেটিকসের যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও রয়েছে এর চাহিদা। নিম্নবিত্ত পরিবারের নারীরা ফুটপাত থেকে সাধ্য অনুযায়ী ক্রয় করছেন কসমেটিকস সামগ্রী। এসব কসমেটিকস সামগ্রীর মধ্যে নামিদামী মার্কেটগুলো ও ফুটপাতের দোকানে রয়েছে দামের পার্থক্য। রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার আরডি মার্কেট, নিউমার্কেট, আমানা বিগ বাজার, স্পার্ক গিয়ারসহ অন্যান্য মার্কেট ও শোরুমগুলোতে তরুণীসহ সব বয়সি নারীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে অন্য বয়সি নারীদের থেকে তরুণীদের ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে।
পারফিউম বা সুগন্ধি ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, বডি স্প্রে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়, মেইকআপ ও ফেইস মেইকআপ বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ থেকে বেশি দামে , আই লাইনার ৩০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা, আই ব্রাউ ২০ থেকে ৫০ টাকা, আইশ্যাডো ৩০ থেকে ২শ’ টাকা, লেন্স ১৫০ থেকে ৫শ’ টাকা, নেইল পলিস ৫০
লিপস্টিক ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, কাজল ৫০ থেকে ৩শ’ টাকা, চুলের রং ৫০ থেকে ৫শ’ টাকা, টিপ ২০ থেকে ১শ’ টাকা, গি¬টার ৫০ টাকা, আলতা ৪০ থেকে ১শ’ টাকা, স্নো ৫০ থেকে ১শ’ টাকা, ক্রিম একশ থেকে ৫শ’ টাকা, পাউডার ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্যান্ড ২০ থেকে ৫০ টাকা, ফিতা ১০ টাকা, কাটা ২০ থেকে ৬০ টাকা, নূপুর ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত, কাচের চুড়ি ৫০ থেকে ১শ’ টাকা, ইমিটেশনের বালা ১০০ টাকা ৩০০ টাকা, কানের দুল ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, গলার হার দেড়শ থেকে ৫শ’ টাকা ও ব্রেসলেট ২০০ টাকা থেকে অন্যান্য দামে বিক্রি হচ্ছে।
রূপচর্চায় সচেতন নারীদের কসমেটিকসের পাশাপাশি ভ্যানেটি ব্যাগ ও পার্সও কিনতে দেখা গেছে। এসব ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কসমেটিকসে’র পাশাপাশি জুয়েলারির দোকানগুলোতেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি ভিড় দেখা গেছে। ইমিটেশনের ওপর স্টোন ও পার্লের কাজ করা আধুনিক গহনার সঙ্গে রয়েছে গোল্ড পে¬টের ওপর স্টোনের কাজ করা রাজস্থানী, জয়পুরি ও কাশ্মিরী গহনা।
নগরীর মার্কেটগুলোতে ইমিটেশন, কাঠ, স্টোন ও বিভিন্ন জিনিস দিয়ে তৈরি গহনা ও কসমেটিকের দোকানগুলোতে এসেছে নানান ধরনের গহনা। শুধু নিম্নবিত্ত নয়, উচ্চ মধ্যবিত্ত ক্রেতারাও ভিড় জমিয়েছে এসব দোকানগুলোতে। এখানে রয়েছে কানের ঝুমকা, চুড়ি, আংটি, মালা, হেয়ার ক্লিপ, পায়ের নূপুর ও আরও বাহারি রকমের গহনা। বিভিন্ন ডিজাইনের ব্রেসলেট পাওয়া যাচ্ছে এইসব দোকানগুলোতে। বিভিন্ন ডিজাইনের কাঠের তৈরি মালা এবং চুড়িও পাওয়া যাচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে গয়না কিনতে আসা এক তরুণীর সাথে কথা হলে সে জানায়, নতুন পোশাকের পাশাপাশি অঙ্গসজ্জার জন্য নতুন গয়নাও প্রয়োজন তাই কিনতে আসা। ঘুরে ঘুরে পছন্দের গয়না কিনবো।
আরেক নারী বলেন, বছরের বিশেষ দিনগুলোতে আনন্দ উপভোগ করতে কেনাকাটা করতে আসা। চেষ্টা করছি সাধ্য অনুযায়ী কেনাকাটা করা। এবার অন্যান্য বারের তুলনায় ইমিটেশনের গয়নার দাম বেশি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
দোকানির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা কম দেখা যাচ্ছে। তবে ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় একটু বেশি ক্রেতা দেখা যাচ্ছে। রোজার প্রথম দিকে তেমন একটা ক্রেতা ছিলনা বলে তিনি বলেন। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে