খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: গত অর্থবছরের থেকে এবার বাজেটে বরাদ্দ কমেছে নির্বাচন কমিশনের ( ইসি)। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৯ -২০ আর্থবছরে যা ছিল এক হাজার ৯২১ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় সংসদে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’ শিরোনামে দেশের ৪৯তম বাজেটে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় বাজেট।
করোনা থেকে মুক্তি এবং মানুষের জীবন মানে স্বস্তি ফেরাতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা গেছে, গতবছর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য এক হাজার ৯২১ কোটি টাকা ছিল। এবার তা কমিয়ে এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ অর্থবছরে বাজেট কমেছে ২০৪ কোটি টাকা।
সামনে সারাদেশে পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কারণে ব্যয় ১০ গুণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী অর্থবছরে পরিচালন খাতে বরাদ্দ বাড়ছে। আর বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুমোদিত তিনটি প্রকল্প রয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দের তুলনায় আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য ১৯২১ কোটি টাকা বরাদ্দে অন্তত ১১টি খাতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছিল। এরমধ্যে রয়েছে ছবিসহ ভোটার তালিকা, সংসদের উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, স্মার্টকার্ড প্রদান, দুই বছর মেয়াদি পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্র, ইভিএম প্রকল্পের আওতায় ৮২০০০ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়, দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন ও এনআইডি প্রদান, এনআইডি তথ্য যাচাই এবং ইসির উন্নয়ন ও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
খবর২৪ঘন্টা/নই