খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছাতে এবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর আগে সনাতন ধর্মালম্বীদের নেতারা এ দাবি জানালেও ইসি তা আমলে নেয়নি। এমনকি এ নিয়ে আদালতে রিটও হয়েছে। এবার পত্রটি ইসি সচিবকে পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিনকে সামনে রেখে গত শুক্রবার থেকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর দুই সিটির প্রার্থীরা এখন মাঠে। ১৩ জন মেয়র পদপ্রার্থীসহ প্রায় সাড়ে সাতশ কাউন্সিলর প্রার্থী ভোট করছেন।
এরই মধ্যে ওই কর্মকর্তা চিঠিতে লিখেন, আগামী ৩০ জানুয়ারি সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ওই পূজা লগ্ন বা তিথির মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়। তাই পূজার তারিখ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিভুক্ত এলাকাসমূহে বাপক সংখ্যক সনাতন ধর্মালম্বী লোকের বসবাস। এখানে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ পূজা মণ্ডপ রামকৃষ্ণ মিশন অবস্থিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলও ওই এলাকাতে অবস্থিত। রামকৃষ্ণ মিশন ও জগন্নাথ হলে এলাকার আশপাশের অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে পূজা উপলক্ষে প্রচুর সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকের সমাগম ঘটে।
এছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে যেসব প্রতিষ্ঠান ভোটকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যেহেতু পুরাতন ঢাকা একটি ঘন জনবসতি সংকীর্ণ এলাকা ,বিধায় ওই এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীদের এসব প্রতিষ্ঠান ছাড়া পূজা পালন করা অনেকাংশেই সম্ভপর হবে না।
তিনি আরও লেখেন, এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল শাখা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য একটি পত্র দাখিল করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় কাজ সুচারুভাবে পালন করার স্বার্থে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করার সুপারিশের যৌক্তিকতা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আবেদন পত্রটি মহোদয়ের কাছে পাঠানো হলো।
এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছিল। এই নির্বাচনের তারিখ পেছাতে হাইকোর্টে রিটও করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। এই রিটের এখনও শুনানি হয়নি।
এমকে