খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বংশ পরম্পরায় মানব প্রজন্মকে দুনিয়ায় টিকিয়ে রেখে দুনিয়াকে আবাদ রাখার জন্য বিবাহ বন্ধনকে বৈধ করেছেন। এটাকে আল্লাহ তাআলার একটা গুরুত্বপূর্ণ নীতি ও সিস্টেম। এ ছাড়া বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবন গঠন করা নবীদেরও সুন্নত।
আল্লাহ তাআলা বলেন: নিশ্চয় আপনার পুর্বে অনেক রাসুলকে প্রেরণ করেছি। আমি তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করেছি। (সুরা রা’দ ৩৮)
কুরআন ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি তখনই পরিপূর্ণ মুমিন হয় যখন সে বিয়ে করার মাধ্যমে জীবন যাপন করেন। বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু বিধান রয়েছে ইসলামে। যে কাউকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে ইসলামে কঠোর নিষেধ রয়েছে।
পাঠকদের আজ জানাবো, ইসলামের দৃষ্টিতে যাদের বিয়ে করা হারাম:
মহান দয়াময় ও করুণাময় আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন- মাতা, দুধ মা, বোন, দুধ বোন, কন্যা,খালা, ফুফু, ভ্রাতৃকন্যা, ভগিণীকণ্যা, স্ত্রীদের মাতা, ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী, দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করা হারাম, অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম, তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিয়েতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই।
তবে খালাতো, মামাতো, চাচাতো বা ফুফাতো বোনকে বিয়ে করা বৈধ। চাচা মারা গেলে কিংবা তালাক দিয়ে দিলে চাচীকে বিয়ে করার বৈধতা দিয়েছে ইসলাম। তবে, তাদেরকে বিয়ে করবেন কি করবেন না সেটা আপনার ইচ্ছা।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ