যুদ্ধবিরতির পরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরই অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের মহাপরিচালক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গাজা উপত্যকায় এখন ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া ৫২ দিন ধরে গাজায় বিদ্যুৎ নেই।
গত ১ ডিসেম্বর ৭ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষে আবারও গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালানো শুরু হয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এখন বিমান থেকে অনবরত বোমা ফেলছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল উত্তরাঞ্চলে হামলা চালায়। এ সময় সাধারণ মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তখন ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে চলে গেলে নিরাপদ থাকা যাবে। তবে এখন এই দক্ষিণাঞ্চলেই হামলা চালানো শুরু করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি হচ্ছে।
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেসব বোমা ব্যবহার করছে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহ করেছে। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এবং ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, ইউএস সি-১৭ সামরিক কার্গো বিমানে ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার বোমা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী ‘বাঙ্কার বাস্টারথ বোমা। এ ছাড়া দখলদার ইসরায়েলিদের ১৫৫ মিলিমিটারের ৫৭ হাজার শেল দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
খান ইউনিসের বাসিন্দারা জানান, প্রায় দুই মাস আগে যুদ্ধ শুরুর পর শনিবার এখানে সবচেয়ে বেশি বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। পরে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত ২৪ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। সূত্র: আলজাজিরা