আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে ইরানের ৫২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন তা যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেক মার্কিন রাজনীতিক এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন গত শনিবার।
তিনি বলেছিলেন, ‘সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সম্পদের ওপর হামলা হলে ইরানের সংস্কৃতির জন্য গুরুত্ব বহন করে এমন জায়গাতে ‘খুব দ্রুত ও বিধ্বংসী’ হামলা চালানো হবে।’
পরদিন রবিবার ওই হুমকির পুনরাবৃত্তি করে ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেন, ‘যদি ওরা মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করে, নির্যাতন করে, রাস্তার ধারে বোমা মেরে মার্কিনীদের উড়িয়ে দেয়, তাহলে আমরা কেন ওদের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারবো না?’
ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ৫২ জন কূটনীতিক ও মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেই সুনির্দিষ্টভাবে ৫২টি স্থাপনায় হামলার হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পের এই হুমকির সমালোচনা শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই নয় হচ্ছে স্বদেশেও। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে জানায়, যুদ্ধ সম্পর্কিত জেনেভা কনভেনশন, তার ৫৩ ধারার বলা হয়েছে- ‘কোনও ধরনের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা একেবারেই নিষিদ্ধ।’ এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এই কাজ করেন, সেটা হবে যুদ্ধাপরাধের সামিল।
যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসলে যুদ্ধাপরাধ করার হুমকি দিচ্ছেন।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, এইচআরডব্লিউ ওয়েবসাইট
এমকে