খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে উল্লেখ করে পুনরায় নির্বাচন দাবিতে জমিয়ত উলামা-ই-ইসলাম পার্টির প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমেছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। গতকাল শুক্রবার জমিয়ত উলামা-ই-ইসলামের দীর্ঘ এক পদযাত্রা শেষে বিপুল আন্দোলনকারী রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছায় আন্দোলনকারীরা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, গত রোববার মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে করাচি থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে আন্দোলনকারীরা। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গতকাল শুক্রবার ভোরে তাঁরা ইসলামাবাদে পৌঁছে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
এ আন্দোলনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগও (পিএমএল-এন) সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দল সমর্থন জানিয়েছে। শুক্রবার পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ ও পিপিপি নেতা নায়ার বুখারি সমাবেশে এসে এ আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। নয়তো হাজার হাজার মানুষের এ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। তবে বড় দুই বিরোধী দল পিএমএল-এন ও পিপিপি অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচিতে থাকবে না বলে আলাদাভাবে জানিয়েছে। তারা এতে একবারের জন্য আসবে ও সমর্থন জানাবে বলে জানায়।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা অবৈধ সরকারের পতন চাই। আর সেজন্যই লং মার্চ করে ইসলামাবাদে আসা। সরকার কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। গরিবদের জন্য ৫০ লাখ বাড়ি বানানোর কথা বলেছিল এই সরকার, কিন্তু তা না করে উল্টো ৫০ লাখ ঘরবাড়ি ধংস করা হয়েছে।’
আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া সরকারবিরোধী দলগুলো বলছে, গত বছর পাকিস্তানে হওয়া নির্বাচনে সেনাবাহিনী অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছে। আর কারচুপি করেই নিজেদের পছন্দের পাত্র ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা।
এদিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনোয়ার পারভেজ খাত্তাক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি মন্তব্য করেছেন, কাশ্মীর ইস্যুকে আড়াল করতেই মাওলানা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে এক বক্তৃতায় সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান মাওলানা ফজলুর রহমান। পরে রাতেই টেলিভিশনে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, সেনাবাহিনী একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কোনো সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করবে না।
খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন