1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০০ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২০০

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শুক্রবারের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে নিহতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ধার কার্যক্রমে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। এদিকে নিহতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। রাস্তায় রাস্তায় দেখা যাচ্ছে লাশ।এদিকে, শহরের একটি হোটেলের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীরা ২৪ জনকে জীবিত বের করে এনেছেন। আরো অনেক সেখানে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আজ সোমবার প্রাণহানির সর্বশেষ যে হিসাবে দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবারের ভূমিকম্প এবং তা থেকে সৃষ্ট সুনামিতে সুলাওয়েসি দ্বীপে কমপক্ষে ১২০০ জন মারা গেছে।
কিন্তু কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন হতাহতের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়তে পারে। ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউসুফ কাল্লা বলেছেন, নিহতের সংখ্যা ‘হাজার হাজার’ হতে পারে।

কেন এই আশঙ্কা – দুর্যোগের পর তার কারণ ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছেন ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা।
শুক্রবারের ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং তার ফলে সৃষ্ট ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু এবং আরো কয়েকটি শহরে আঘাত করে।
জাতীয় দুর্যোগ বিভাগ বলছে, তারা প্রথমে যা ভেবেছিলেন ভূমিকম্প এবং সুনামিতে আরও বেশি জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, বহু মানুষ এখনও বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির নিচে আটকা পড়ে আছে।  পালু শহরে মানুষজন নিজেরাই ধ্বংসাবশেষের নিচে স্বজন প্রতিবেশীদের খুঁজছেন।

এদিকে, দুর্যোগ বিভাগের কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাউগি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে ভারি যন্ত্রপাতি দরকার। শরীরের শক্তি দিয়ে একাজ আর সম্ভব হচ্ছে না।
ডঙ্গালা নামক একটি শহরের পরিণতি নিয়ে গভীর আশঙ্কা রয়েছে। প্রত্যন্ত এই শহরটি থেকে এখনও তেমন কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না।

রেডক্রস বলেছে, ১৬ লাখের মত মানুষ শুক্রবারের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি বলছে ‘এই ট্রাজেডি আরো করুণ চেহারা নিতে পারে।  শহরের ৩,৩৫,০০০ মানুষের অনেকে এখনও নিখোঁজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে বহু মানুষ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির নিচে আটকা পড়ে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শহরের রাস্তায় রাস্তায় মরদেহ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। খোলা জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আফটার-শক অর্থাৎ বড় ভূমিকম্পের পর ছোটো ছোটে যে কাঁপুনি হয়, তার ভয়ে শনিবার সারারাত পালুর লোকজন ঘরের বাইরে ছিলেন।  একটি আশ্রয় কেন্দ্রে বসে পালুর বাসিন্দা রিসা কুসুমা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, প্রতি মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ আসছে। খাবার পানি প্রায় পাওয়াই যাচ্ছে না। দোকানপাট বাজার সব লুট হয়ে যাচ্ছে।

শুক্রবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার যে ভূমিকম্প হয় তার উৎপত্তিস্থল ছিল উপকূলের খুব কাছে, মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে। ফলে খুব দ্রুত জলোচ্ছ্বাস তীরে চলে আসে।
স্থানীয় একটি উৎসবের কারণে সে সময় বহু মানুষ পালুর সমুদ্র সৈকতে ছিল। ফলে তাদের অনেকেই সুনামি থেকে পালানোর সময় পায়নি।  ঘরবাড়ি ছাড়াও ভূমিকম্প ও সুনামিতে শহরের শপিং মল, মসজিদ, হোটেল, সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে। পালু বিমানবন্দরের একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারও মারা গেছেন।

 

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST