কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইকবাল হোসেন ‘পাগল বা ভবঘুরে নয়’ বলে জানিয়েছেন সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।
রিমান্ডে থাকা ইকবাল হোসেন ইতোমধ্যে সিআইডিকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
গতকাল সোমবার ( ১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রিমান্ডে থাকা আসামি ইকবাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। ইকবাল হোসেনকে পাগল ও ভবঘুরে বলা হলেও আসলে সে তা নয়। সে ঘটনার পর সুকৌশলে কুমিল্লা থেকে কক্সবাজার পালিয়ে যায়।
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজাকাণ্ডে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে ‘কুমিল্লা টাইমস ’ নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিরুদ্ধে নতুন মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।
এ মামলায় ওই নিউজ পোর্টাল পরিচালনাকারী সাজ্জাদ হোসেন শিমুল ও তার ভাই ফয়সাল মবিন পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নতুন করে এ মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক আতিকুর রহমান।
গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার সদর দক্ষিণ ও দাউদকান্দির দুটি মণ্ডপে হামলা হয়। এর জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
গত ২১ অক্টোবর ইকবালকে কক্সবাজার সৈকত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিএ/