আগামী ১১ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পরিবেশ। বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেলের (নৌকা) সলঙ্গা বাজারের বাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয় ও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। পরে পুলিশ তা নিষ্ক্রিয় করে।
হামলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম রেজা (চশমা) ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাসান ইমাম সহন তালুকদারকে (আনারস) দায়ী করছেন নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বলছেন, তারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এটি একটি ষড়যন্ত্র। মিজানুর রহমান তালুকদার রাসেল জানান, বুধবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই জামায়াত বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন তার নারী কর্মীদের উপরে হামলা, পোস্টার ছেড়া, বিকেলে তার কর্মীদের ওপর হামলা করে মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
রাতে তারা তার সলঙ্গা বাজারের বাড়িতে রাস্তা থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল নিক্ষেপ শেষে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয় ও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। এ সময় বাসায় কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান তালুকদারের সলঙ্গা থানা সদরের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণের আলমত পাই ও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেএন