এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। বহু নিষেধাজ্ঞা ও আলোচনা করেও কার্যকর কোনো সমাধান হয়নি। বরং দিন দিন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
জাতিসংঘ বলছে, এভাবে যুদ্ধ চলতে থাকলে ইউক্রেনের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে পারে।
রোববার (২৭ মার্চ) আলজাজিরার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) কর্মকর্তা আচিম স্টেইনা জানান, আমরা সারাদেশে (ইউক্রেন) দেখছি যে, লোকেরা তাদের জীবিকা হারিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এখন আয় করতে পারছেন না। তাদের দেখাশোনা করা কর্তৃপক্ষের জন্য বিশাল কাজ। শুধু তাই নয় অর্থনীতির বড় অংশের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে ইউক্রেনের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়তে পারে।
তাই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান ইউএনডিপির এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা এবং রাশিয়ার ১৬ হাজার ৪০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের ১ হাজার ৩৫১ সেনা নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনের এক হাজার ৮০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সূত্র : আলজাজিরা
বিএ/