খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশনা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এই নির্দেশনা ছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের পক্ষে স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে। এতে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট মামলায় কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে হলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অনুমতি নিতে হবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, গত সোমবার (২১ এপ্রিল) রুল চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।
এই রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি উপস্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রিট আবেদনে বলা হয়, পুলিশ প্রশাসন যখন রাজনৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকারের চর্চাকে দমন করতে ব্যবহৃত হয়, তখন এমন সার্কুলার কার্যত গ্রেফতার থেকে রক্ষা পাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীকে, যা আইনের শাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ডিএমপির আলোচিত ওই আদেশটি জারি করা হয়েছিল ৯ এপ্রিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে যেসব মামলা রুজু হয়েছে, সেগুলোতে এজাহারনামীয় কিংবা তদন্তে পাওয়া আসামিদের গ্রেফতারের আগে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করে উপযুক্ত তথ্য (যেমন, ভিকটিম বা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ভিডিও বা অডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র, কললিস্ট ইত্যাদি) জমা দিয়ে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
এছাড়া আরও উল্লেখ করা হয়—এই অনুমতি ছাড়া কোনো আসামিকে গ্রেফতার না করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশের ফলে, আগামী তিন মাস ওই নির্দেশ কার্যকর থাকবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তে মামলার আসামিদের গ্রেফতারে আগের মতো পুলিশ নিজের বিবেচনায় ব্যবস্থা নিতে পারবে, অনুমতির প্রয়োজন হবে না—এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
বিএ..