নিজস্ব প্রতিবেদক :
আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে গেলাম, আমাদের মত কেউ যেন আর প্রতারিত না হয়। আমরা প্রতারিত হয়েছে অন্যরা যাতে না হয়। সেই জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহীর লক্ষীপুরে অবস্থিত বেসরকারী সিডিএম হাসপাতালে প্রতারণার শিকার হয়ে লাশ নিয়ে বসে থাকা এক মৃত ব্যক্তির স্বজন।
ওই নারী বিলাপ করতে করতে বলেন, আগে শুনতাম রাজধানী ঢাকায় এমন অবস্থা হয়। মানুষ মরে গেলেও শুধুমাত্র টাকার জন্য তারা লাশ আটকে রেখে ভুয়া আইসিইউ নাটক করে। ভুয়া লাইফ সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলে। এখন এসব দৃশ্য রাজশাহীতে দেখছি। আল্লাহ যাতে এদের কঠোর শাস্তি দেয়। কোনদিন এরা ক্ষমা পাবে না। লাশ নিয়ে বাণিজ্য। এসব কথা বলতে বলতে মৃত ব্যক্তির স্বজন ওই নারী হাসপাতাল থেকে বাইরে বের হয়ে যায়।
মৃত ওই ব্যক্তির নাম তোফাজ্জল হোসেন। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন রামচন্দ্রপুর বাসার রোড এলাকার বাসিন্দা। তোফাজ্জলের ছেলে রফিকুল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে গত ১০ তারিখ রাতে হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর বাবার সাথে আর কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে দুপুরে লাইপ সাপোর্ট দেওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ। আবার বাঁচার আশা নেই বলে জানায়।
হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করার সাথে সাথে বাবাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। তারা লাশ রেখে অর্থ বাণিজ্য করার চেষ্টা করেছে। তাদের বিচার দাবি করছি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনার পর ওই নারী বিলাপ করতে করতে বলেন, আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে গেলাম, আমাদের মত কেউ যেন আর প্রতারিত না হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে