দোয়া মানে ডাকা। দোয়া মানে প্রভু আল্লাহতায়ালার কাছে বান্দার প্রার্থনা। ইহকালীন ও পরকালীন সুখ-শান্তির জন্যে বিপদ থেকে মুক্তির জন্যে এবং সার্বিক কল্যাণের জন্যে মানুষ আল্লাহর কাছে দোয়া করে থাকে।
দোয়া হচ্ছে- ইবাদত-বন্দেগি ও দাসত্ব প্রকাশের চূড়ান্ত মাধ্যম। হজরত রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বিশেষ কিছু গুণাবলিতে গুণান্বিত ছিলেন, এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ গুণ হচ্ছে- তার গোলামি ও দাসত্ব।
মানুষকে আল্লাহতায়ালা সৃষ্টিই করেছেন তার ইবাদত ও দাসত্ব করার জন্যে। এ বিষয়ে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি মানুষ ও জিন জাতিকে কেবল আমার ইবাদতের জন্যেই সৃষ্টি করেছি। -সূরা যারিয়াত: ৫৬
সঙ্গত কারণেই যে যত বেশি আল্লাহর দাসত্ব করতে পারবে, তার ক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির উদ্দেশ্য ততই পূর্ণতা পাবে। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বকালের সব মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী। মহান সৃষ্টিকর্তার দাসত্ব তিনি সবচেয়ে বেশি পালন করেছেন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন। তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং সব নবী-রাসূলের সর্দার। কিন্তু এত সব বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকা সত্ত্বেও আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে জায়গায় জায়গায় তাকে বান্দা ও দাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যেমন, পুরো মানবজাতির মাঝে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যাকে আল্লাহতায়ালা মেরাজের সম্মানে ভূষিত করেছিলেন। এক রাতে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসে নিয়ে যাওয়া, সেখান থেকে সপ্ত আকাশ পাড়ি দিয়ে সরাসরি আল্লাহর দিদার (সাক্ষাত) লাভ করা এবং সবশেষে আবার সেই রাতেই নিজের ঘরে ফিরে আসা- এমন কোনো ঘটনা মানব ইতিহাসে একমাত্র তার জীবনেই ঘটেছিলো। অথচ আল্লাহতায়ালা এমন মহান ঘটনাটির বিবরণ দিচ্ছেন এভাবে- মহান সেই সত্তা যিনি তার বান্দাকে রাতের বেলা মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসায় নিয়ে গেলেন…। -সূরা বনি ইসরাইল: ১
এ থেকেই অনুমান করা যায়, মহান প্রভুর গোলামি ও দাসত্বের পূর্ণতার মধ্যেই নিহিত একজন মানুষের পরিপূর্ণ সফলতা।
নামাজ রোজা হজ জাকাত ইত্যাদি আমলের মাধ্যমে মানুষ তার প্রভুর ইবাদত ও দাসত্ব করে থাকে। কিন্তু দাসত্বের পূর্ণ রূপ