আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো আলেম-ওলামাদের তো নই, এমনকি বিএনপির কোনো নেতাদেরও গ্রেপ্তার করে নাই সরকার। যারা আগুন-সন্ত্রাসের সাথে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও দেখে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে। এখানে কল্পকাহিনী তৈরির কোনো সুযোগ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকা, হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে নারকীয় তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সন্ত্রাস আড়াল করে সন্ত্রাসীদের বাঁচাতে বিএনপিই বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে মনগড়া কল্পকাহিনী তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার এ সংকটকালে বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশগুলোও যখন সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে তখন ভ্যাকসিন, আইসিইউ, অক্সিজেন ইত্যাদি নিয়ে সংকট তৈরি না করে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অধিকতর মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করারও আহ্বান জানান। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়কগুলোতেও গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশনা দেন।
এছাড়া মন্ত্রী বিআরটিসির বহরের গাড়িগুলোকে যথাযথ মেরামত কাজ করতেও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিআরটিএ’কে দালালের চক্র থেকে রক্ষা করতে ওবায়দুল কাদের আবারও কঠোর হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আর তা না হলে বিআরটিএ জনগণের যথাযথ সেবা দিতে পারবে না।
জেএন