নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বাকী আর ৪ দিন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ ততই ভোটের দৌঁড়ে পিছিয়ে পড়ছে। ভোটের দৌঁড়ে পিছেয়ে পড়ে থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য সরকার দলীয় প্রার্থী মরম কামুড় দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ভোট জালিয়াতী, কারচুপি ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ইতোমধ্যে সরকার দলীয় প্রার্থী অন্যান্য জেলা থেকে ৪০-৪৫ হাজার সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাজশাহীতে রেখেছে বলে জানান বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি বলেন, এদের কাজে লাগিয়ে জোর করে রায় নিজের পক্ষে নেওয়ার স্বপ্নে বিভোর সরকার দলীয় প্রার্থী। কিন্তু এই স্বপ্ন কোনদিন বিএনপি ও ২০দলীয় জোট করতে দেবেনা। যত বড়ই সন্ত্রাসী হোক না কেন রাজশাহীর মাটিতে কোন রকম বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চাইলে সমোচিৎ জবাব দেওয়া বলে হুঁমিয়ারী দেন বুলবুল।

তিনি বলেন, রাজশাহী কারো নিকট লিজ বা বিক্রি করে দেওয়া হয়নি। রাজশাহী কারো পৈত্রিক সম্পত্তিও নয়। এটা সকল জনগণের শহর। রাজশাহী শান্তির শহর। এখানে কোন ধরনের অসান্তি কাউকে সৃষ্টি করতে দেওয়া হবেনা। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত কোন মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই ১৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে সিটির বাহিরের থানায় বিভিন্ন ধরনের মামলা দিয়ে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৩০-৩৫ জন পোলিং এজেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে এবং বাড়িতে নেতাকর্মীদের না পেলে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের হয়রানী ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে পুলিশ।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে সরকার দলীয় প্রার্থীর নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তাদের অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বিএনপি’র গণসংযোগ ও পাড়া মহল্লায় নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন এবং নারী কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। এনিয়ে রাজশাহী নির্বাচন কমিশনে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও বিএনপি’র নির্বাচনীৗ অফিস ভাঙ্গচুর অব্যাহত রয়েছে। সাংবাদিকদরে প্রশ্নে তিনি আরো বলেন এই নির্বাচন গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন। এই নির্বাচন জনগনের ভাত ও ভোটের নির্বাচন। এই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয় লাভ করে পুণরায় সিটি কর্পোরেশনে বসে নগরবাসীর উন্নয়ন করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় করেন বুলবুল। নগরবাসী সেবা অব্যাহত রাখথে জনগণর নিকট তিনি পুণরায় দোয়া ও ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহম্মেদ খান বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর পরাগ ও জসিম উদ্দিন, তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান, ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, ২০ ওয়ার্ড বিএনপি,

সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ইকবাল, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইলিয়াস বীন কাশেম, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাম্পাদক নাহিন আহম্মেদ সহ অত্র ওয়ার্ডের বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারাণ সম্পাদক, শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং শত শত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

নেতাকর্মীরা শালবাগানস্থ বিএনপি পার্টি অফিস থেকে শুরু করে ১৮ নং ওয়ার্ডের সপুরা, বিসিক এলাকা, আলিফ লাম-মীম ভাটা এলাকা সহ অত্র ওয়ার্ড সমুহের সকল পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ করেন। বিকেল ৪টা থেকে রাজপাড়া থানা পার্টি অফিস থেকে বিএনপি মেয়র পার্থী গণসংযোগ শুরু করবেন বলে বিএনপি দপ্তর থেকে জানা যায়।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে