ফিফা উইন্ডোর অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে বর্তমানে চীনে অবস্থান করছে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) মাঠে নামবে মেসি-ডি মারিয়ারা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে স্কালোনি শিষ্যরা।
প্রীতিম্যাচের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিশোধের আগুন। কেননা গেল বিশ্বকাপের রাউন্ড অফ সিক্সটিনে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল অজিদের। যদিও পরিসংখ্যান কোন দিক দিয়েই তাদের এগিয়ে রাখতে পারছে না।
এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা আর অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়েছে আটবার। এই আটবারের দেখায় অস্ট্রেলিয়ার অর্জন কেবল একটি জয় ও একটি ড্র। জয় তারা পেয়েছিল ১৯৮৮ সালে। সেটি আবার ছিল দুই দলের প্রথম দেখা। এরপর আর কোনবারই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয় বাগিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়া সম্ভব হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।
১৯৮৮ সালের প্রথম দ্বৈরথে অজিরা জয় পেয়েছিল ৪-২ ব্যবধানে। তবে পিছিয়ে নেই আর্জেন্টিনাও। প্রতিশোধ তারা নিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে জয়ের মাধ্যমে। ড্র হওয়া ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-১।
সবশেষ কাতার বিশ্বকাপের রাউন্ড অফ সিক্সটিনে আর্জেন্টিনার কাছে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পরও ২-১ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় ক্যাঙ্গারুদের। ৮ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৮ গোলের বিপরীতে আর্জেন্টিনা জালের দেখা পেয়েছে ১৭ বার।
পরিসংখ্যান সবদিক দিয়েই এগিয়ে রাখছে আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু আলবেসেলেস্তিয়ানরা এমনই এক দল যারা কিনা পঁচা শামুকে পা কাটতে অভ্যস্ত। অঘটনের জন্ম দেয়া তাদের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। যেমনটা ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের রাউন্ড অফ সিক্সটিনে যেই ম্যাচে হেরে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় নিতে হয়েছিল, সেই ম্যাচটা ছিল ক্যাঙ্গারুদের কোর্টেই। বল দখল আক্রমণ সব কিছুতেই তারা ছিল এগিয়ে। কিন্তু এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুর্ভেদ্য দেয়াল ভেদ করে জালে বল পাঠাতে ব্যর্থ হয় অজিরা। আর শেষ মুহূর্তের গোলে জয় বাগিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা।
এখন দেখার বিষয় আর্জেন্টিনা কি পারবে তাদের প্রতিপত্তি ধরে রাখতে না বিশ্বকাপে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে সন্তুষ্টির হাসি হেসে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল রাত পর্যন্ত।
বিএ/