খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: চীনের উহান থেকে সৃষ্ট নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন বৈশ্বিক মহামারি। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়িয়ে নিচ্ছে প্রাণ সংহারক এই ভাইরাস। তবে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ধাক্কায় আরও ভয়াবহতা নিয়ে আসতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। সর্বোচ্চ সচেতন না হলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু আর উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা সমানে বাড়বে বলেই তাদের আশঙ্কা।
লাইভ সাইন্সে এক নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এখনও রহস্যে ঘেরা নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় থাবা হবে আরও ভয়ংকর। এই ধাপে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বেশি। তার সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।
দ্বিতীয় ধাক্কার পর আরও করোনার একটি ধাক্কার আশংকা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভালুশান অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস।
তিনি বলছেন, ‘এটি এমন এক রহস্য যা আমরা এখনও উন্মোচন করতে পারিনি। এই মারণ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধকও তৈরি হয়নি। যে কারণে আমরা দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় দফা করোনার ভয়ংকর আঘাতের আশঙ্কা করছি।’
উপসর্গহীন আক্রান্ত বৃদ্ধির বিষয়ে ইউএসএ টুডে এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনার যে কথা বলা হচ্ছে তার সঠিক তথ্য কারো জানা নেই। সার্স ও মার্স আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার যে রেকর্ড রয়েছে তা করোনার বেলায় খাটছে না।
এদিকে লাইভ সায়েন্স বিশ্বজুড়ে করোনায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন ছুড়েছে। কারণ প্রায় সব দেশেই প্রয়োজনের তুলনায় করোনা টেস্ট কম হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বিস্তৃতভাবে করোনা পরীক্ষাই শুরু হয়নি। যে কারণে কত শতাংশ মার্কিনি করোনায় আক্রান্ত সেটিও বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা থেকে সুস্থ হতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির কয়েক মাস লেগে যাচ্ছে। সুস্থ হলেও পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত হচ্ছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। আর এটিই আরও আশংকা বাড়াচ্ছে কারণ আক্রান্ত ব্যক্তি আরও বহু মানুষে সংক্রমিত করতে পারে।
এ কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাটা অগোচরেই থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন হাভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারি বিশেষজ্ঞ মার্ক লিপসিথ।
বিশেষজ্ঞরা এজন্য সর্বোচ্চ সচেতনতাকে গুরুত্ব দিয়ে সতর্ক করছেন, করোনাভাইরাস দ্বিতীয়বার আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।
খবর২৪ঘন্টা/নই