নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমান পিপিএম স্বাক্ষরিত একটি রিপোর্ট জাল করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন প্রধান সহকারী আব্দুল কুদ্দুস। ৩ মে তাকে সাময়িক বরখাস্ত নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার।
সূত্রে জানা গেছে, আরএমপির প্রধান সহকারী আব্দুল কুদ্দুসের টেন্ডারে অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আরএমপি কমিশনারের কাছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার একটি তদন্ত পাঠায়। আরএমপি কমিশনার বিষয়টি তদন্ত করে এপ্রিল মাসে তাকে শোকজ করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ কমিশনার একটি রিপোর্ট পুলিশ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। সেই রিপোর্ট আব্দুল কুদ্দুস নিজেই ডাক হিসেবে ঢাকায় নিয়ে যান। ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরে স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে তার বিরুদ্ধে লেখা প্রতিবেদন মিশিয়ে দিয়ে নিজের ইচ্ছামত রিপোর্ট তৈরি করেন। তিনি শুধু কমিশনারের স্বাক্ষর ও স্মারক নং ঠিক রেখে বাকি লেখা মিশিয়ে দেন। নিজেকে নির্দোষসহ পদ্দোন্নতিরও সুপারিশও করেন নিজে নিজে। এরপর তিনি সেটি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে জমা দেন।
প্রতিবেদনটি পুলিশ সদর দপ্তরে পৌঁছালে সদর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে করে সেটি আবার আরএমপিতে ফেরত পাঠায়।
প্রতিবেদনটি ফেরত আসলে আরএমপি কমিশনার সেটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শিরিন আক্তারকে। এডিসি শিরিন আক্তার ১৯ এপ্রিল থেকে সেটি তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত করে তিনি প্রধান সহকারী আব্দুল কুদ্দুসের জালিয়াতির প্রমাণ পান। সেই রিপোর্ট ৩ মে আরএমপি কমিশনারের কাছে জমা দিলে পুলিশ কমিশনার প্রধান সহকারী আব্দুল কুদ্দুসকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
প্রধান সহকারী আব্দুল কুদ্দুস সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরএমপির এডিসি হেডকোয়ার্টার শিরিন আক্তার বলেন, আমি তার বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। পরে পুলিশ কমিশনার স্যার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম প্রধান সহকারী আব্দুল কুদ্দুসের সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, নিজের পদ্দোন্নতির সুপারিশ, দায়িত্বে অবহেলা, অনিয়ম ও টেন্ডারে দুর্নীতির কারণে পুলিশ কমিশনার স্যার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। আরেকটি টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়েও তাকে শোকজ করা হয়েছে। সেটিও তদন্তনাধীন রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে