বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ন্যায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ‘ডোপ টেস্ট’ করানো হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আরএমপির বিভিন্ন ইউনিটে ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাদক কারবারে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পুলিশের এক এসএসআই কে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
কর্নহার থানার এএসআই মোত্তালেবুর রহমান গাঁজা উদ্ধার করে বিক্রি করে দেয়। পরে ঘটনা জানাজানি হেল তাকে সাসপেন্ড করা হয়। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডোপ টেস্ট শুরু হলে অনেক সদস্য থেকে শুরু করে কর্মকর্তা ডিএমপির ন্যায় চাকরি হারাতে পারেন। আর এটি নিয়ে পুরো আরএমপি জুড়েই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
আরএমপির নতুন কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দ্রুত ডোপ টেস্ট করানোর কাজ শুরু হবে। আরএমপি সূত্র জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ন্যায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশেও ডোপ টেস্ট করানোর কাজ শুরু হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। আরএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রত্যেকটি ইউনিট ও বিভাগের উপ-কমিশনারদের চিঠি দিয়ে
সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত সদস্যদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। খুবই গোপনে বর্তমানে এই তালিকা তৈরীর কাজ করা হচ্ছে। শুধু ডোপ টেস্ট নয় যে সকল পুলিশ সদস্য মাদক কারবারে জড়িত তাদেরও তালিকা তৈরী হচ্ছে। আর এ তালিকা তৈরী করে কমিশনারের নিকট জমা হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরএমপি সূত্র জানায়, ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের অনেকেই নিজেরা মাদকাসক্ত হওয়ার পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকে। এরও একটি তালিকা করা হচ্ছে। মাদক সংক্রান্ত অপরাধে কোনও পুলিশ সদস্য জড়িয়ে পড়লে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের নির্দেশনায় পুলিশকে মাদকমুক্ত করার এই কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়েছে। ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স সূত্র জানায়, ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত ধরা পড়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
বিভাগীয় মামলার মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। ডোপ টেস্টে ধরা পড়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই থানায় কর্মরত ছিল। তাদের প্রত্যেকেই প্রাথমিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কোন ছাড় নয়। পুরো মহানগরী জুড়েই এখন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান।
এর আগে নিজেদেরকে মাদকমুক্ত করার উদ্দ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকার ন্যায় রাজশাহীতেও পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করানো হবে পাশাপাশি যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে গোপনে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
গত ২২ সেপ্টেম্বর একজন এএসআই মোতালেবুর রহমান কে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমরা জিরো টলারেন্সে পৌছতে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই করছি। এদিকে ডোপ টেস্ট করানো হলে পুলিশের সদস্য থেকে শুরু করে অনেক কর্মকর্তাই ফেঁসে যেতে পারেন। এ নিয়ে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে গুঞ্জনও সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এখন থেকে সাবধানতা অবলম্বন করছেন।
জেন