খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: ব্যাংকের অর্থসংকট মেটাতে সরকারি তহবিলের ৫০ শতাংশ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ব্যাংক উদ্যোক্তাদের চাপে অর্থমন্ত্রী গতকাল রাতে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এতে অর্থসংকট মেটার পাশাপাশি সুদহার এক অঙ্কে নেমে আসবে বলে সভায় জানানো হয়।
বর্তমানে সরকারি তহবিলের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যায়।
বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সরকারের আর্থিক খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকের আর্থিক সংকট, ঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও ডলার-সংকটের প্রেক্ষাপটে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের ৫৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে সবকটিতেই এখন দুই অঙ্কের সুদ গুনছেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানে দেয়া ঋণের বিপরীতে ১৫ শতাংশেরও বেশি হারে সুদ আরোপ করছে কোনও কোনও ব্যাংক।
বৈঠকে অর্থসংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার (সিআরআর) ৩ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছে ব্যাংক মালিকদের সংগঠনটি। এর মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে আসবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
এ জন্য আগামীকাল রোববার সোনারগাঁও হোটেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর সভা অনুষ্ঠিত হবে। অর্থমন্ত্রী নিজেও এ সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
বিএবি সংকট কাটাতে নয়টি প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে আছে কৃষি খাতে বাধ্যতামূলক বিনিয়োগের সীমা কমানো, আমানত বাড়াতে নানা ধরনের পেনশন স্কিমে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও কর কমানো বা পুরোপুরি প্রত্যাহার, খাদ্যশস্য আমদানি অর্থায়নে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি, ইত্যাদি। বিএবি মনে করে, এর ফলে বিদ্যমান সংকট দূর হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ