নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্ডারগ্রাউন্ড থাকার পরও তা জনসাধারণকে ব্যবহার করতে না দেয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুরে অবস্থিত বেসরকারী রয়্যাল হাসপাতাল লিমিটেড। হাসপাতালের সামনে রোগী, রোগীর স্বজন, দর্শনার্থী ও ওষুধ কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভরা আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে না পেরে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন রাখছে। আর এতেই ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহন যানজটের মধ্যে পড়ছে। রয়্যাল হাসপাতালেরর সামনে প্রায় প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভিড় থাকে। এ পুরো
সময় সেখানে রাস্তা দখল করে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন রাখা হয়। এ কারণে পথচারী ও যানবাহন চালকরা বিপাকে পড়েন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা লক্ষীপুর মোড় থেকে একটু সামনেই বেসরকারী হাসপাতাল রয়্যাল হাসপাতাল লি:। এই বেসরকারী হাসপাতালের সামনে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবস্থিত। পপুলার ও রয়্যাল হাসপাতালের কারণে ওই রাস্তাতে সবসময় যানজট লেগে থাকে। মাঝেমধ্যে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। রয়্যাল হাসপাতালের সামনে কিছু ফাঁকা জায়গা থাকলেও
পপুলারের সামনে নেই। সেই ফাঁকা জায়গাতেই মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবাহন রেখে হাসপাতালে ওঠে রোগীর স্বজন ও রিপ্রেজেন্টেটিভরা। ফুটপাতসহ ব্যস্ততম রাস্তার কিছু অংশ দখল করে গাড়ী রাখা হয়। পথচারী চলাচলের রাস্তাটুকুও আর অবশিষ্ট থাকে না। ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে গাড়ী রাখার কারণে পথচারী ও যানবাহন চালকরা বিপাকে পড়েন। হাসপাতালের আন্ডারগ্রাউন্ড সর্বসাধারণের জন্য নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে খুলে দিলে সেখানে ভিড় থাকবেনা। ভালোভাবে যানবাহন ও পথচারী চলাচল করতে পারবে না। এতদিন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য পথচারীকে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হলেও এখন নতুনভাবে
রয়্যাল হাসপাতালের কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। রাস্তায় শৃঙ্খলা যানজট দুর করার জন্য সেখানে ট্রাফিক পুলিশ কন্সটেবলও দায়িত্ব পালন করেন। কিন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবহার না করতে পারার কারণে কোন শৃঙ্খলা আসে না। রাস্তার ওপর ফাঁকা জায়গায় মোটরসাইকেল রাখা সাইফুর নামের একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রয়্যাল
হাসপাতালে রোগী দেখতে এসেছিলাম। গাড়ী কোথায় রাখবো বলেন? হাসপাতালের আন্ডারগ্রাউন্ড তালাবদ্ধ থাকে। যদি টাকার বিনিময়েও রাখতে দিতো তাহলে রাস্তার উপর রাখতে হতো না। শহিদুল্লাহ নামের আরেক মোটরসাইকেলওয়ালার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখানে না রেখে উপায় কি বলেন? তারাতো ভেতরে রাখতে দেয়না। শুধু নিজেদের গাড়ী তারা
রাখতে দেয়। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, ফুটপাতের উপর গাড়ী না রাখার ইচ্ছা থাকলেও পারি না। কারণ আমাদের চিকিৎসক ভিজিট করতে হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবহারের সুযোগ দিলে এই সমস্যা আর হবেনা বা রাস্তা ব্যাবহার করার প্রয়োজন হবে না। এ বিষয়ে রয়্যাল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড শুধু চিকিৎসকরা ব্যবহার করেন। রোগী ও রিপ্রেজেন্টেটিভদের ব্যবহার করতে দেয়া হয়না। কেন ব্যবহার করতে দেয়া হয়না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেখানে জায়গা কম। রিপ্রেজেন্টেটিভ শুধু তাদের হাসপাতালে যায়না অন্য হাসপাতালেও যায়। হাসপাতালের
সামনে রাখা গাড়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে প্রশাসন নিতে পারে। হাসপাতালের সামনে গাড়ী রাখার কারণে যানজট বাড়ে এর দায় আপনারা এড়াতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেন নি। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার অনির্বাচন চাকমা বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আর/এস