খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রুহুল কুদ্দুস গ্রুপের সমর্থক সরবত আলী মোল্যা (৫৫) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ এপ্রিল) ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু হয়।
নিহত সরবত আলী মোল্যা (৫৫) গদাইপুর গ্রামের মৃত. সামছুর মোল্যার ছেলে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের ভাই জুলি, বাচ্চু, বাচ্চুর জামাই সাদ্দাম ও বাচ্চুর ছেলে কাইয়ুম ও প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীসহ ৯ জন।
আহতরা হলেন- চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই গদাইপুর গ্রামের আহসান হাবিব টগর, একই গ্রামের কাজল ফকির, জাকির মোল্যা ও সেলিম সরদার। অপর পক্ষের রব্বানী মোল্যা, সবুজ মোল্যা, লাদেন মোল্যা ও শৈবাল মন্ডলসহ উভয় পক্ষের ১০ জন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই টগর মাছ বিক্রয়ের জন্য গদাইপুর মৎস্য হাটে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একাধিক মামলার আসামি গদাইপুর গ্রামের সবুজ মোল্যার নেতৃত্বে মোমিন, মফিজুল, আছাদুল, মজিদ মোল্যাসহ ৮/১০জন সংঘবদ্ধ হয়ে হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
তাকে বাঁচাতে জাকির ও সেলিম এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে এবং টগরের কাছ থেকে মাছ বিক্রয়ের নগদ টাকা ও সেলিমের মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে টগরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে টগর গুরুতর আহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে সরবত ও রব্বানীসহ কমপক্ষে পাঁজজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরবত মোল্যার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
এদিকে সরবতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে সকালে তার পক্ষের লোকজন একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চেয়ারম্যান ডালিমের স্ত্রী রেহেনা খাতুন জানান, তার বাড়ি ভাঙচুরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দলিলসহ সব মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মূলত দফায় দফায় হামলার এ ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রুহুল কুদ্দুস গ্রুপের সমর্থক সরবত আলী মোল্যা (৫৫) নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ এপ্রিল) ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতু হয়।
নিহত সরবত আলী মোল্যা (৫৫) গদাইপুর গ্রামের মৃত. সামছুর মোল্যার ছেলে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের ভাই জুলি, বাচ্চু, বাচ্চুর জামাই সাদ্দাম ও বাচ্চুর ছেলে কাইয়ুম ও প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীসহ ৯ জন।
আহতরা হলেন- চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই গদাইপুর গ্রামের আহসান হাবিব টগর, একই গ্রামের কাজল ফকির, জাকির মোল্যা ও সেলিম সরদার। অপর পক্ষের রব্বানী মোল্যা, সবুজ মোল্যা, লাদেন মোল্যা ও শৈবাল মন্ডলসহ উভয় পক্ষের ১০ জন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই টগর মাছ বিক্রয়ের জন্য গদাইপুর মৎস্য হাটে যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একাধিক মামলার আসামি গদাইপুর গ্রামের সবুজ মোল্যার নেতৃত্বে মোমিন, মফিজুল, আছাদুল, মজিদ মোল্যাসহ ৮/১০জন সংঘবদ্ধ হয়ে হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
তাকে বাঁচাতে জাকির ও সেলিম এগিয়ে এলে তাদেরও পিটিয়ে জখম করে এবং টগরের কাছ থেকে মাছ বিক্রয়ের নগদ টাকা ও সেলিমের মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে টগরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে টগর গুরুতর আহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে সরবত ও রব্বানীসহ কমপক্ষে পাঁজজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরবত মোল্যার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
এদিকে সরবতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে সকালে তার পক্ষের লোকজন একত্রিত হয়ে চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চেয়ারম্যান ডালিমের স্ত্রী রেহেনা খাতুন জানান, তার বাড়ি ভাঙচুরসহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দলিলসহ সব মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশাশুনি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মূলত দফায় দফায় হামলার এ ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই