খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে আটক সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিট শাখার ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ছেড়ে দিয়েছে প্রশাসন।
রোববার দুপুরে আটকের ঘণ্টাখানেক পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের এফিডেভিট শাখায় অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের সময় এফিডেভিট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সম্প্রতি আইনজীবী সমিতি সুপ্রিমকোর্টের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করে। তারই প্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনজীবীরা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। আমরা বারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেছিলাম। আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ২ নম্বর প্রশাসনিক ভবনে একটি ঝটিকা অভিযান পারিচালিত হয়। এবং প্রাথমিকভাবে সেখান থেকে ৪৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ৪৩ জনকে আটকের পর বার নেতৃবৃন্দকে খবর পাঠানো হলে বারের সম্পাদকসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এরপর জানতে পারি, আটক ব্যক্তিরা নিজ শাখায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালন না করে অন্য কার্যক্রমে ব্যস্ত রয়েছেন বলে তাদের আটক করা হয়েছে। সেখানে অভিযুক্তদের নাম, ঠিকানা সংগ্রহ শেষে তাদের মৌখিকভাবে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই