খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতিভবনে অনুষ্ঠিত হবে তার শপথ অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে শপথের আনুষ্ঠানিকতা। রাষ্ট্রপতিভবনে চলছে এলাহি আয়োজন।
স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় রাজঘাট পৌঁছে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানান মোদি। সেখান থেকে যান অটলবিহারী বাজপেয়ীর সমাধিস্থলে। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও দলের অন্যান্য সাংসদেরা।
আজ থেকে ৪৮ বছর আগে একক গরিষ্ঠতা নিয়ে পরপর দুবার কোনও প্রধানমন্ত্রী লোকসভা ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গড়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৭ এবং ১৯৭১ সালে পরপর দু’বার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেন। কিন্তু দেশে জরুরি অবস্থার জের ধরে ১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে তার দল কংগ্রেস শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়।
১৯৭১ সালের পর আবার সেরকমই বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে এসে পরপর দুবার সরকার গড়ছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে তার দ্বিতীয় ইনিংস।
এর আগে মনমোহন সিং পরপর দু’বার প্রধানমন্ত্রী হলেও তখন কংগ্রেসের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। ইউপিএ ছিল জোট সরকার। কিন্তু মোদি এবার ক্ষমাতায় এসেছেন ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তার দল বিজেপি এত বেশি আসন পেয়েছে যে, কার্যত ভারতে আর বিরোধী দলের তেমন শক্তিই রইলো না।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির শপথগ্রহণের পর শপথ নেবেন তার মন্ত্রীরাও।
এবার মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বিমস্টেক রাষ্ট্রগুলোর (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি টেকনিক্যাল অ্যাণ্ড ইকনমিক কোঅপারেশন) সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ডাক পাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কেননা এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত দেশগুলি সার্কে থাকলেও বিমস্টেকে পাকিস্তান নেই। রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যাণ্ড, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপাল, ভূটান। এর পাশাপাশি মরিশাস ও কিরঘিজস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কিরঘিজস্তানের প্রেসিডেন্টকে এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কারণ সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদর দপ্তর সেখানেই। আর শপথগ্রহণের পর নরেন্দ্র মোদির পরবর্তী প্রথম বিদেশ সফর সাংহাই কোঅপারেশনের সম্মেলনেই। সেখানে থাকবেন ইমরান খানও। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাকে শপথ অনুষ্ঠানে না ডেকে মোদি কঠোর অবস্থানের বার্তাই দিয়েছেন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন