আজ বুধবার ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। পরে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
এই দিনটি পালন করতে দেশব্যাপী নানা আয়োজন করেছে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) এক বাণীতে বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)- এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয় নবী (সা.) এর অনুপম জীবনাদর্শ, তার সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে মসজিদে-মসজিদে এবং নিজ-নিজ বাসায় কোরআন খতম ও জিকির আজকারের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের বিশেষ রহমত কামনা করেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর উপর পক্ষকালব্যাপী আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকেই পালন শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১৭ অক্টোবর) এক প্রজ্ঞাপনে ১৯ অক্টোবরের (মঙ্গলবার) পরিবর্তে ২০ অক্টোবর (বুধবার) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি পুর্ননির্ধারণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিএ/