খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: ফেনী শহরের মহিপালে দেশের প্রথম ও একমাত্র ছয় লেন ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, এই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে। মহিপাল ফ্লাইওভার ছয় লেনের হলেও সেতুর নিচের দুই পাশে আরও চার সার্ভিস লেন চালু থাকবে। এটি চালু হলে যানজট নিরসন হবে, ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে এবং এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বাঁচবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ফ্লাইওভারের মূল দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার, প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার, সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৭০ মিটার, সার্ভিস রোডের প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার, সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৬০ মিটার, ১১টি স্প্যান, ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ২১০ মিটার, পিসি গার্ডার ১৩২টি।
ওবায়দুল কাদের জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মহিপালে ১০ লেন সেতুই হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিভাগ ও মেসার্স আবদুল মোনেম লিমিটড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
মহিপাল ফ্লাইওভার
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার সহযোগী আবদুল মোমেন লিমিটেডের পরিচালক আক্তারুজ্জমান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে মহিপাল ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ২০১৮ সালের জুনে। প্রায় ছয় মাস আগেই মহিপাল ফ্লাইওভারটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।’
স্থানীয় এলাকাবাসী ও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, এই ফ্লাইওভার ব্যবহার করে ঢাকা-চট্টগ্রামের গাড়িগুলো দ্রুত গন্তব্যে চলে যেতে পারবে। এতে করে সময় যেমন বাঁচবে, তেমনি যানজটেও পড়তে হবে না। অপরদিকে ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী ছোট পরিবহন চলাচলের পাশাপাশি মহিপাল হয়ে বৃহত্তর নোয়াখালী ও অন্যান্য দূরপাল্লার রুটের গাড়িগুলো চলাচল করতে পারবে। মহিপাল অংশে আগে যানজট সৃষ্টি হলেও ফ্লাইওভারটি চালু হলে মহিপালে গাড়ির চাপ আগের চাইতে অনেক কমে যাবে বলে তারা আশা করছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ