খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: শি জিনপিংকে আজীবন প্রেসিডেন্ট পদে রাখতে সংবিধান সংশোধন করতে যাচ্ছে চীন। এই লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ করেছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। পূর্বসূরিরা যে পাঁচ বছর মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার ঐতিহ্য চালু করেছিলেন সেটি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট শি। এমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।
চীনে ২০০৪ সালের পর এই প্রথম সংবিধান সংশোধন করা হবে। এই ঘোষণা গত বছরের ডিসেম্বরে দেওয়া হয়েছিল। বিশ্লেষকরা তখন ধারণা করছিলেন, দুর্নীতিবিরোধী ন্যাশনাল সুপারভিশন কমিশন (এনএসসি) গঠনের জন্য সংবিধান সংশোধন করা হবে।
চীনের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদে ১০ বছরের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এ সংক্রান্ত ধারাটি পরিবর্তন করার প্রস্তাব করেছে। তবে, অনুমোদন পেতে খুব একটা সমস্যা হবে না। কেননা, স্বাধীনভাবে কিছু করার ক্ষমতা নেই পার্লামেন্টের।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গঠনতন্ত্রে ‘শি জিনপিংয়ের মতাদর্শ’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয় দলের সর্বোচ্চ ফোরাম। এর ফলে মাও সেতুংয়ের পর তিনিই পার্টিতে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।
২০১৩ সাল থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন শি জিনপিং। বর্তমান ব্যবস্থায় ৬৪ বছর বয়সী এই নেতাকে ২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এর অনেক আগেই সংবিধানের ধারা পরিবর্তন করে তার ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর বন্দোবস্ত করছে তার দল। এ পরিবর্তন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
তার পূর্বসূরি দুই প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন ও হু জিনতাও উভয়ই পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। তবে চীন শাসনের ব্যাপারে নিজের যে আরও বড় উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে সেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন জিনপিং।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ