1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নির্বাচন সামনে রেখে চূড়ান্ত ক্র্যাক ডাউন শুরু করেছেঃ রিজভী - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ১৩ জানয়ারী ২০২৫, ০১:০ পূর্বাহ্ন

আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নির্বাচন সামনে রেখে চূড়ান্ত ক্র্যাক ডাউন শুরু করেছেঃ রিজভী

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ছবি)

খবর২৪ঘন্টা ডেস্কঃ

নির্বাচন সামনে রেখে চূড়ান্ত ক্র্যাক ডাউন শুরু করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ যেন বাতি নিভে যাওয়ার আগে হঠাৎ জ্বলে উঠা। গুপ্তহত্যা, বিচারবর্হিভুত হত্যা, গুম, খুন, বিরোধী মত দলন-নিপীড়নের সঙ্গে দেশজুড়ে চলা গণগ্রেপ্তারের গতি এখন  আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা গতকালই বলেছিলাম দেশজুড়ে  ফের গুপ্ত হত্যা শুরু করেছে সরকার এবং নারায়নগঞ্জে ৪ জনকে হত্যার পর গুলিবিদ্ধ লাশ ফেলে রাখা হয় সড়কের পাশে। আজকে গণমাধ্যমের শিরোনাম হলো, রাতে ফাঁড়িতে, সকালে সড়কে লাশ। ৪ জনকেই ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। ফাঁড়িতে গিয়ে তাদের স্বজনরা তাদের খাবারও দিয়ে এসেছিল। সকালে গুলিবিদ্ধ, থেঁতলানো লাশ মিলল সড়কের পাশে।

এটা কতটা মর্মান্তিক ও বিভৎস ঘটনা? এরকম নিষ্ঠুর অমানবিক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমাদের নেই। দেশের জনগন যেন সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এক অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামে ভয়ার্ত দিন কাটাচ্ছে। সারাদেশটাকে ভুতুরে বাড়িতে পরিণত করা হয়েছে। লাশের পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। কিন্তু মানুষ আরতো বেশি দিন চুপ করে বসে থেকে শুধু আহাজারি করবে না। মৃত্যু ভয় জয় করে গণতন্ত্রের নির্ভয় সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সকল শক্তি নিয়োগ করবে। বর্তমান দুঃশাসনের অবসান সময়ের ব্যাপার মাত্র।

রিজভী বলেন, গতকাল মানহানির মামলায় দেশের প্রতিথযশা আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। মানহানি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা নজিরবিহীন ঘটনা। গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের আন্দোলনকে ব্যহত করতেই এ গ্রেপ্তার। তাছাড়া ব্যারিস্টার মইনুল জামিনে ছিলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তিও। শুধুমাত্র অপশাসনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলাটাকেই অপরাধ হিসেবে গন্য করছে সরকার।রাতে কোর্ট বসিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশে যে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা সকলের কাছে পরিষ্কার। কারণ গতকাল প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন মইনুল হোসেন একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা করেন বাকিটা আমরা দেখছি।

এ ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো, তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তিনি বলেন, মানহানি মামলায়তো প্রথমেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নজির নেই। প্রথমে সমন জারি করে আসামি পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হয়। আসামি পক্ষ উপস্থিত না হলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মুক্তি দাবি করছি।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে সময়মতো নির্বাচন হবে। বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ বহাল থাকবে। যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলার ক্ষমতা আওয়ামী লীগ ও সরকারের আছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হলো ভোট ডাকাতির নির্বাচন, ভোটারবিহীন নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার তিনি সুষ্ঠু ও সব দলের অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন চান না, গায়ের জোরে নির্বাচন করতে চান। জোর করে ক্ষমতাকে আকঁড়ে ধরে রাখতে চান। এ সরকারের আমলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, হবেও না। আমি পরিস্কার বলে দিতে চাই  আরেকটি একতরফা নির্বাচন হবে না, এদেশের মানুষ হতে দিবে না। সিটি নির্বাচনের স্টাইলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সারাদেশে গায়েবি মামলার পর এখন চলছে গণগ্রেপ্তার। চট্রগামের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ও চট্টগাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকে আটক করেছে পুলিশ। গতরাতে সিলেট ও চট্রগ্রামে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের খবর আমরা পেয়েছি।

এছাড়া গতকাল কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এটিএম নুরুল বশর চৌধুরি, কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জামাল আহমেদসহ ২৩জনের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গতকাল কক্সবাজের ৪১৩জনকে আসামি করে আরও ৪টি গায়েবি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

পুলিশি নির্যাতন ও গ্রেপ্তার থেকে বিএনপির নারী নেত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না। তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী ও হেনস্থা করা হচ্ছে। ফেনী জেলা মহিলা দলের সভাপতি জুলেখা আক্তার ডেইজিকে পরশুদিন রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। কোন ছাড়া ২৪ ঘন্টা আটক রেখে গতকাল বিকেলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সরকারের আমলে বিএনপির নারী নেত্রীদের উপর জুলুম নিত্য নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সাতক্ষিরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিকুর রহমান, পানছড়ি উপজেলার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদুল হায়াত, মানিকছড়ি যুবদলের সমাজকল্যান সম্পাদক আবুল কালামসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও আমরুল ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাজেদুল হক, খোট্টাপাড়া  ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবদুল মজিদ, যুবদল নেতা মোঃ শহিদুল ইসলাম, চুপিনগর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুক হোসেনকে শাহজাহানপুর থানা  পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।  আমি অবিলম্বে মিথ্যা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দাবি করছি। ব্রিফিংয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বনির্ভর সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দপ্তর সহ সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন,  বেলাল আহমেদ, মৎসজীবী দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।

খবর২৪ঘন্টা / সিহাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST