নিজস্ব প্রতিবেদক :
দৈনিক মজুরীভিত্তিক অস্থায়ী ১১ কর্মচারীকে রাজশাহী উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাবের্ডে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তারা একসাথে জড়ো হয়ে প্রবেশ করতে গেলে মুল গেটে আনসার সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। কারণ সংস্থাপন শাখার উপ-সচিব ওয়ালিদ কর্তব্যরত আনসারের পিসি ফজল আলীর হাতে ১১ জনের তালিকা ধরিয়ে দিয়ে তাদের প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। এ কারণে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।অস্থায়ী কর্মচারী আল মামুন অভিযোগ করে জানান, দৈনিক মজুরীভিত্তিক ৬২ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রত্যেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ও ৪৫০ টাকা হারে মজুরি পায়। যা মাস শেষে প্রদান করা হয়। ৬২ জনের চাকুরী স্থায়ীকরণের জন্য আদালতে মামলা দায়ের
করা হয়েছিল। সেই মামলা কর্মচারীদের পক্ষেই ছিলো। সেই দাবি জানানো হলে কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মেনে প্রহসন করছে। মারধরের ঘটনার পর থেকে অস্থায়ী কোনো কর্মচারী শিক্ষাবোর্ডে প্রবেশ করেনি। এরপর ওই মামলায় একজন জেল থেকে বের হলে মঙ্গলবার সবাই একযোগে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। ১১ জন ছাড়া বাকি কর্মচারীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সবাইকে
প্রবেশ করতে না দিলে বোর্ডের ভেতরে তারা যাবেন না বলে জানান। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলো। সেই সাথে কর্মচারীরাও মুল গেটে অবস্থান নেয়। এ বিষয়ে বোর্ডের মুল গেটে থাকা পিসি ফজর আলী বলেন, কর্তৃপক্ষ ১১ জনের একটি তালিকা দিয়েছে। ১১ জন ছাড়া বাকিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। কিন্ত তারা সবাই প্রবেশ করতে চায়। সে জন্য তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস