1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
অসামাজিক কাজে লিপ্ত মেয়ে, হত্যা করে ডোবায় ফেলে দিলেন বাবা - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ০৫ জানয়ারী ২০২৫, ০:৫৮ পূর্বাহ্ন

অসামাজিক কাজে লিপ্ত মেয়ে, হত্যা করে ডোবায় ফেলে দিলেন বাবা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় লাইজু আক্তার নামে এক কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বাবা ও মামা। সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আহমেদের আদালতে নিহতের মামা মাজু মিয়া জবানবন্দি দেন।

লাইজু নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল লম্বাহাটি এলাকার সনু মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ পশ্চিমদিকের একটি ডোবার অর্ধগলিত এক কিশোরীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জামা-কাপড় ও ওড়না দেখে মরদেহটি লাইজুর বলে শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তদের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।এর আগে ২৩ জুন নিখোঁজ হয় লাইজু। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধ্যায় পায়নি পরিবারের লোকজন। পরে এসপি মুহাম্মদ আনিসুর রহমানের নির্দেশে অ্যাডিশনাল এসপি মোজাম্মেল হোসেনের (সদর সার্কেল) নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেন। হত্যার ঘটনায় কিশোরীর মা সাহেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত রোববার নিহতের মামা মাজু মিয়া ও তার দেয়া তথ্যমতে সোমবার বাবা সনু মিয়াকে ধরমন্ডলের লম্বাহাটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন নিহতের মামা। জবানবন্দির বরাতে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, লাইজু প্রতিদিন রাতে মা সাহেদার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমাতো। লাইজুর স্বভাব-চরিত্র ভালো ছিল না। পরিবারের কারো কথা তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময় অসমাজিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিলো লাইজু। গত ২২ জুন রাত ৮টার দিকে বসতঘরের পেছনে পাটখেতে এক ব্যক্তির সঙ্গে লাইজুর অসামাজিক কাজ দেখতে পান মামা মাজু।

তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে তার মা ও বাবাকে অবগত করেন। এতে নিহতের বাবা সনু মিয়া ও মামা মাজু মিয়া ক্ষিপ্ত হন। গত ২৩ জুন সকাল ১০টার দিকে বাবা ও মামা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে বাবা ও মামা ঘর থেকে লাইজুকে ডেকে বাইরে বের করে। তারা কৌশলে লাইজুকে বসতঘরে পেছনে নিয়ে যান। এ সময় বাবা সনু গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং মামা মাজু হাত-পা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে লাইজুকে হত্যা করেন।এ ঘটনার প্রায় ৫-৭ মিনিট পর ঘটনাস্থলে আদম আলী উপস্থিত হন। পরে তিনজন মিলে লাইজুর মরদেহ বাড়ির পাশের কচুরিপানার ডোবায় ফেলে দেন।

তিনি আরো বলেন, ওই ঘটনায় আদম আলীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মামা মাজু আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।খবর২৪ঘন্টা /এবি

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST