খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ভোটের অনিয়মের তদন্তের ভার নির্বাচন কমিশনের ওপর দিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভোটের সন্ধ্যায় বিদেশী সংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ব্রিফিংয়ে জার্মান সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- যে সব বিরোধী প্রার্থী নানা অভিযোগ তুলে বর্জন করেছেন এটি একান্তই তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি এ নিয়ে কোন মন্তব্য করবেন না জানিয়ে বলেন, বিরোধী দল বা জোট অতীতে যেভাবে সমন্বিতভাবে ভোট বর্জন করেছে এবার তেমনটি হয়নি।
তারপরও ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীরা যেসব অভিযোগ তুলেছেন তা তদন্তের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা নিশ্চয়ই ভোটের পোস্টমর্টেম করবে এবং এটি হওয়া সময়ের ব্যাপার। সেখানে যদি কোন আসনে কোন প্রার্থী অসদুপায় অবলম্বন করে জয়ী হয়েছেন বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন তাহলে তাদের সব ধরনের অধিকার রয়েছে তাকে বাতিল সার্টিফিকেট দেয়ার। জাপানের এক সাংবাদিক উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিদ্যমান ব্যবস্থায় তারা কত আসনে জয়ী হচ্ছেন বলে মনে করেন? জবাবে ড. রিজভী বলেন, রাজনীতিক ছাত্র এবং রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তিনি ভোটের ফল নিয়ে কখনও কোন আগাম মন্তব্য না করার নীতি নিয়ে চলেন। তবে ভোটের সূচনাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়ের ব্যাপারে যে কনফিডেন্স বা আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন তিনি তার মধ্যেই থাকতে চান।
বলেন, আমরা জয়ে শতভাগ আশাবাদী। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, এটা আমাদের কালচারে পরিণত হয়েছে যে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনায় থাকলে বলি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আর হেরে যাওয়ার আশংকায় বলি কারচুপি হয়েছে। নির্বাচনে সবাই জিততে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাপানী অপর সাংবাদিক অবশ্য উপদেষ্টার ওই বক্তব্যের বিশেষ করে গোটা এশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি যে ‘কালচারের’ উদাহরণ দিয়েছে তার সঙ্গে ভিন্নমত করেন। উপদেষ্টা অবশ্য এ নিয়ে পরবর্তীতে একটি ব্যাখ্যা দেন এবং বলেন, তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে এটি বলেছেন। পশ্চিমা মিডিয়ায় ‘সহিংসতায় বিঘœ ঘটা নির্বাচন’ বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে তারও একটি ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন।
কলকাতা থেকে আসা টেলিগ্রাফের পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসি ব্যুরো প্রধানের প্রশ্নের জবাবে ড. রিজভী বলেন, আমাদের ১০ কোটি ভোটার এবং ৪০ হাজারের বেশী কেন্দ্র। বিশাল এ সংখ্যা এবং এর যে মাত্রা সেটি নিশ্চয়ই আমাদের পশ্চিমা বন্ধুরা বিবেচনায় নিবেন। তিনি ভারতীয় সাংবাদিকসহ উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাদের দেয়া পরিসংখ্যানটা তুলে ধরবেন বলে আশা করি। উপদেষ্টা অভিযোগ করেন- ভোট কেন্দ্রীক সহিংসতায় একজন লোকও যাতে মারা না যায় সেটিই তাদের কামনা ছিল। কিন্তু সেখানে অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন। তাদের বেশীর ভাগই আওয়ামী লীগের। তবে অতীতের তুলনায় এটাকে ‘মাত্র’ই বলতে চান তিনি। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই ব্রিফিং সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। সেখানে সংশ্লিষ্ট উপ-কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই