খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে তিনদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক কলেজছাত্রী। তবে বাড়িতে প্রেমিকা আসার পর থেকেই পলাতক প্রেমিক জীবন কাজী (২০)।
উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের সন্ডা গ্রামের ফারুক কাজী ও সোনিয়া বেগম দম্পতির ছেলে জীবন। সন্ডা গ্রামেই এ ঘটনা ঘটে। আর ওই তরুণীর বাড়ি উপজেলার দেওজুরি গ্রামে। তরুণী নড়িয়া টিএম গিয়াস উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
ওই তরুণী জানান, সন্ডা গ্রামের ইতালী প্রবাসী ফারুক কাজীর ছেলে জীবন কাজীর ক্লাসমেট ছিলেন তিনি। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন বছর যাবৎ নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো এবং নিয়মিত দেখাও করতো তারা। তাছাড়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক হয় তাদের।
প্রতিনিয়ত তরুণীর বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। এ বিষয়ে জীবনকে জানান এবং বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু প্রেমিক জীবন বিয়েতে রাজি না হয়ে তার বাড়িতে চলে এলে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন।
সেই আশ্বাসেই বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন ওই তরুণী। কিন্তু তাকে মেনে নিতে আপত্তি জানান প্রেমিকের বাবা-মা। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেমিক জীবন বাড়ি থেকে কেটে পড়েন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই তরুণী প্রেমিক জীবনদের ঘরের বারান্দায় থাকছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম সরদার জানান, মেয়ের মা-বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলেই বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, তরুণীর অনশনের বিষয়টি জানলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই