1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন

অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো!

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ মারচ, ২০২১

নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই দুই উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। ছোট যমুনা নদীর দুই তীরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বছরের পর বছর শুকনো মৌসুমে সাঁকো ও আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়েই চলাচল করে আসছে। একটি সেতু কিংবা ব্রিজের প্রয়োজন এই অঞ্চলের মানুষের এখন সময়ের দাবী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট যমুনা নদী ভাগ করেছে জেলার রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলাকে। এই নদীর পূর্ব পাশে রাণীনগর উপজেলার গোনা, কাশিমপুর ও আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদ এবং পশ্চিম পাশে কালিকাপুর, হাটকালুপাড়া, বড়বিহানলী ও রাজশাহী জেলার বাগমারা ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত।

এর মাঝখানে রয়েছে ভূপনার ঘাঠ। এই ঘাঠ দিয়ে রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, ভবানীপুর, মির্জাপুর, মিরাপুরসহ প্রায় ৪৫টি গ্রাম এবং আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম, হরপুর, বাউল্লা, তারানগর, শৈলিয়া, লালুয়া, গোন্ডগোহালীসহ প্রায় ৪৫টি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দাদের ছোট যমুনা নদী পাড়াপাড়ে একমাত্র উপায় শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা। দেশ বর্তমানে ডিজিটাল উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত হলেও একটি সেতু কিংবা ব্রিজের অভাবে এখনো পিছিয়ে রয়েছে এই জনপদের জীবনমান। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এই অঞ্চলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। যার কারনে প্রতিনিয়ত থমকে যাচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের অর্থনৈতিক চাকা। প্রতিদিন এই ঘাঠ দিয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ চলাচল করে। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ ছাড়াও শত শত শিক্ষার্থীদের এই ঘাঠ দিয়ে চলাচল করতে হয়।

রাণীনগরের কৃষ্ণপুর, ঘোষগ্রামের শহীদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, বাপ-দাদার পাশাপাশি আমাদের ও বর্তমান প্রজন্মের জীবন কেটে গেলো বাঁশের সাঁকো আর নৌকা করে নদী পাড় হয়ে। আমরা জানি না আগামী প্রজন্মরা কি তাদের জীবনদশায় এই ঘাটে একটি সেতু কিংবা ব্রিজ দেখতে পাবে। শুকনো ও বর্ষা এই দুই মৌসুমেই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন এই নদী পাড়াপাড়। ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আত্রাইয়ের আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শিক্ষক শহীদুল ইসলাম বলেন,

প্রয়াত সাংসদ ইসরাফিল আলমের সময়ে এখানে একটি ব্রিজ নির্মানের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল একনেক। ব্রিজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ১০-১২ বার ঘাটে এসে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজও করে গেছেন কিন্তু আজও আলোর মুখ দেখেনি। নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিঃ মাকসুদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে নতুন করে একটি কর্মপরিকল্পনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পরবর্তি নিদের্শনা দিলে কাজ শুরু করা হবে।

এস/আর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST