চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তিন মার্কিন নাগরিক। তারা হলেন- বেন এস বারন্যাঙ্কে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ফিলিপ এইচ ডিবভিগ।
সোমবার (১০ অক্টোবর) বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে।
ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গবেষণা করায় তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বেন এস বারন্যাঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিলিপ এইচ ডিবভিগ।
প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়। এবারও সোমবার (৩ অক্টোবর) থেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়। আজ অর্থনীতিতে বিজয়ীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শেষ হলো।
এবার চিকিৎসাশাস্ত্রে সুইডিশ বিজ্ঞানী এসভান্তে পেবো নোবেল জয় করেন। পদার্থবিজ্ঞানে ফ্রান্সের অ্যালাঁ আসপে, যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ ক্লাউসার ও অস্ট্রিয়ার আন্টন সেইলিংগার নোবেল পান। রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার ক্যারোলাইন আর বারটোজ্জি, কে ব্যারি শার্পলেস এবং ডেনমার্কের মর্টেন মেলডাল। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ফ্রান্সের লেখক আনি আরনোঁ।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেন বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালিয়েস বিয়ালিয়াৎস্কি এবং যুদ্ধরত দুই দেশ ইউক্রেন-রাশিয়া ভিত্তিক দুই মানবাধিকার সংগঠন।
আগামী ডিসেম্বরে নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের পদক, সনদ ও অর্থ তুলে দেওয়া হবে। সম্মানজনক এই পুরস্কারের অর্থমূল্য এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১১ লাখ মার্কিন ডলার)।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে গোড়াপত্তন ঘটে। তবে ১৯৬৮ সালে অর্থনীতির তালিকা যোগ হওয়ায় পর পরের বছর থেকে অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া হচ্ছে।
বিএ/