খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: অবশেষে জেল থেকে মুক্তি পেলেন আসিয়া বিবি। ইসলাম ধর্মের অবমাননা করায় আট বছর ধরে তিনি সাজা ভোগ করছিলেন। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী।
কিছু প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মুক্তির পর আসিয়া বিবি একটি বিমানে করে রওনা হয়েছেন। কিন্তু তিনি কোথায় যাচ্ছেন সে বিষয়ে সঠিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
২০১০ সালে ধর্ম অবমাননার দায়ে আসিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ড থেকে তাকে খালাস করে দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তবে তার খালাসের রায়ের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের পরিপেক্ষিতে তাকে কারাগারেই থাকতে হয়েছিল। এমনকি ইসলামপন্থি সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সরকার তার পাকিস্তান ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এরপরেই তার স্বামী জানান, তারা বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ব্রিটের কাছেও আশ্রয় চেয়েছিলেন।
আসিয়া বিবি পাঁচ সন্তানের জননী। তাকে মুলতান শহরের একটি জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে তার আইনজীবী সাইফ মুলুক জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্রয় দেবার কথা বলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের জুনে আসিয়া বিবি একদল নারীর সঙ্গে কৃষি জমিতে কাজ করতেন। এসময় এক বালতি পানি নিয়ে দলের অন্য নারীদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। আসিয়া বিবি বালতি থেকে এক গ্লাস পানি নেন। এনিয়ে দলের অন্য নারীরা তার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তারা বলেন, আসিয়া বিবি মুসলিম নন, সেজন্য তিনি মুসলিমদের বালতির পানিতে গ্লাস ডুবিয়ে পানি তুলতে পারেন না। ঝগড়ার এক পর্যায়ে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন তিনি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ওই নারীরা আসিয়া বিবিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের দাবি জানান।
নিজ বাড়িতে মারধরের শিকার হন আসিয়া বিবি। ব্লাসফেমির দায়ে তাকে মারধর করেন অভিযোগকারীরা। পরে তদন্তের পর আসিয়া বিবিকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান পুলিশ। এরপর থেকেই সাজা ভোগ করছিলেন তিনি।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই