অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জেরেই খুন হয়েছেন আবু সাঈদ (৩০)। মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্তে গিয়ে পুলিশ এমন অভিযোগই পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে রাজশাহীর পবা উপজেলার সীমান্ত এলাকার পদ্মার চর মাজারদিয়ারে কোপানো হয় তাকে। নদী পাড়ি দিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় গভীর রাতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রামেকের মর্গ থেকে বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত আবু সাঈদ (৩০) রাজশাহীর পবা উপজেলার চর মাজারদিয়ার এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বীথি খাতুন বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে মামলা করেছেন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৫-৬ জনকে। মামলার পর পুলিশ চর মাজারদিয়ারে অভিযান শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে।
রাজশাহীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তে গিয়ে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ মিলেছে। বর্তমানে এর সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
ওসি বলেন, অভিযোগ রয়েছে পবার চর মাজারদিয়ার এলাকার সজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল আবু সাঈদের। ঘটনা জানার পর সজিবুর এ বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি ভেতরে ভেতরে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক আবু সাঈদকে খুনের পরিকল্পনা করেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবু সাঈদকে চরে একা পেয়ে কোপায় সজিবুর ও তার সহযোগীরা। পরে স্থানীয়রা আবু সাঈদকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও বলেন, আবু সাঈদ খুনের ঘটনায় তার স্ত্রী বীথি খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত সজিবুরসহ মোট ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সুজন আলী ও সাহেব আলী নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি সজিবুরসহ অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জ/ন