পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত কত না ঘটনা ঘটে। তবে পাঠকের চোখ আটকে রাখতে হলে থাকতে হয় তেমনই খবরের জোগানে। প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শুধু যে মুশকিল তা কিন্তু নয়, এটা আসলে সম্ভবই না।
তবে সেই প্রেমিকের সঙ্গে থাকা নানান সময়ের মুহূর্তগুলো অনেকেই ভিডিও কিংবা ছবি ধারণ করে রাখেন। একবার ভাবুন তো পাঠক, সেই মুহূর্তের ধারণ করা ভিডিও যদি প্রকাশ্যে চলে আসে তাহলে কেমন হয় বিষয়টি। নিশ্চয়ই বিষয়টি খারাপ হবে বলেই আপনাদের ধারণা।
কিন্তু বর্তমান সময়টা ভার্চ্যুয়াল, আড্ডা হোক কিংবা জরুরি কাজ। বাস্তবতার পাশপাশি এখন নিত্যনতুন বাস্তবতা হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল জগৎ। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। ঘরবন্দি সময়টাতে এর জনপ্রিয়তা কিংবা গুরুত্ব বোঝা যায়। এখানে ভালো মন্দের ছড়াছড়ি।
প্রায় ২০ বছর আগে খুব বেশি একটা পরিচিতি ছিল না কিম কার্দাশিয়ানের। তিনি তখন আইনজীবীর মেয়ে হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। পেজ থ্রি’র পাতায় মাঝেমধ্যে তার নাম দেখা যায়। তবে সেটা আইনজীবী রবার্ট কার্দাশিয়ানের মেয়ে হিসাবেই।
২০০২ সালে আরও কয়েকটি কারণে কিম কার্দাশিয়ানের নাম করতেন অনেকে। হিলটন হোটেলসের উত্তরাধিকারী প্যারিস হিলটনের বন্ধু হিসাবেও লোকজন চিনতেন তাকে। আবার হিপ হপ গায়িকা ব্র্যান্ডির স্টাইলিস্ট হিসাবেও চোখে পড়ছেন। শুধু তাই নয় তিনি একধারে মডেল ও অভিনেত্রী।
তবে বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই পাল্টে যেতে থাকে তার জীবন। বিনোদনের রঙিন দুনিয়ায় যার টুকটাক ছবি দেখা যেত, সেই কিম রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান। তখন অনেকেই দাবি করেছিলেন, এর পিছনে একটি ভিডিওর অবদান রয়েছে।
রে জের সঙ্গে কিমের অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁস হওয়া মাত্রই সকলের নজরে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। গুঞ্জন ওঠে ২০০২ সালের অক্টোবরে ২৩তম জন্মদিন উদ্যাপন করতে রে জের সঙ্গে মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কিম।
সে সময় একটি ভিডিওক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন কিম এবং রে। ছুটির মজাদার ছবি ছাড়াও তাতে দু’জনের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত ভিডিওতে ধারণ করা হয়।
কিন্তু কিম এবং রে-এর একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্ত ঠিক কীভাবে ফাঁস হলো? এই প্রশ্নের উত্তর আজও অধরা। এখনও ঠিক কে সেই ভিডিও ফাঁস করেছিলেন তা নিয়ে নানা ধরনের বাগবিতণ্ডা চলেই। তবে এতে ‘কিম কার্দাশিয়ান, সুপারস্টার’ নামে ওই ভিডিওর কারণে জনপ্রিয়তায় এক ফোটা আঁচও লাগেনি।
তবে নেটমাধ্যম থেকে ওই ভিডিও এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে।
এ ছাড়াও কিমের আরও বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে। যেখান থেকে পরবর্তীতে প্রায় ২ কোটি ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন কিম।
তবে এর জন্য কিমের সঙ্গে অনেকেরই বন্ধুত্ব হারাতে হয়েছিল। যদিও এতে কিমের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
বিএ/