শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে রাস্তা ও কালভার্ট নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পূর্বের নকশা অনুযায়ী এবং নি¤œমানের কাজ হওয়ার প্রেক্ষিতে রাস্তা ভেঙ্গে কালভার্টের মাটি-বালু সরে যাওয়ায় পাশর্^বর্তী মৎসচাষীর ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়। এ ঘটনায় ওই কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মৎস্যচাষী। এর প্রেক্ষিতে ১৩ জুলাই সোমবার দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শালফা বাজার-ভিটারচড়া এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নাজমুল আলম খোকনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ও তার শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী মৎসচাষীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌর শহরের টাউন কলোনী এলাকার মোজাম্মেল প্রামানিকের ছেলে শাহ আলম উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শালফা বাজার থেকে ভিটারচড়া গ্রামে চলাচলের একমাত্র রাস্তার পার্শ্বে গত ৪ বছর ধরে সরকারি খাসের প্রায় ৯ বিঘা জমির পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। ওই পুকুরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির চাষ করা ছিল।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মৎস্যচাষী শাহ আলম জানান, ওই পুকুরের পাশ দিয়ে ভিটারচড়া গ্রামে চলাচলের রাস্তা সংযোগস্থলে রয়েছে একটি কালভার্ট। এ রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারী কাজ পায় শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নাজমুল আলম খোকন। সংশ্লিষ্ট রাস্তার কাজে নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যাবহার এবং কালভার্টটি বালু মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়। এতে কালভার্টটি মাটির নিচে চাপা পড়ে ধারন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গত ১০ জুলাই রাতে ভারি বৃষ্টিপাতে মাটির নিচে চাপাপড়ে এবং নতুন পিচ ঢালা রাস্তা ভেঙ্গে যায়। এতে ওই রাস্তা সংলগ্ন কালভার্টের নিচের মাটি-বালু সরে গিয়ে পুকুর থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে যায়। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় গত ১১ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার নাজমুল আলম খোকন বলেন, ওই কাজের মুল ঠিকাদারী পায় বগুড়ার মেসার্স লিমন কন্সট্রাকশন, আমি নই, সাব ঠিকাদারী নিয়ে ওই রাস্তার কাজ মানসম্মত ভাবে করে দেয়া হয়েছে, আর সে কারণেই জেলা ও উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ বুঝে নিয়ে অর্থ প্রদান করেছেন। তারপরেও রাস্তা ও কালভার্টের সমস্যাজনিত অংশটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের ইশারায় মেরামত কাজ করতে দেয়া হচ্ছেনা।
শেরপুর উপজেলা সহ-প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, ওই রাস্তার কাজের গুনগত মানে কোন সমস্যা নেই। তবে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বর্ষার পানি ঢুকে রাস্তা সংলগ্ন কালভার্টের নিচে মাটি সরে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই