বিনোদন,ডেস্ক: নারীদের কথা ছবিতে আসুক তিনি চান৷ কিন্তু তিনি নিজে বা তাঁর কাজে নারীবাদী-এমন তকমা চান না ঋতুপর্ণা৷ বললেন, ‘‘আমার ধারণা আমরা যে সমাজে বাস করি, সেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও সমান সমান জায়গা পাওয়া উচিত৷ কেননা সমাজে মেয়েদের অবদান কিছু কম নয়৷ সবরকমভাবেই কন্ট্রিবিউট করছে মেয়েরা৷ আমি ফেমিনিজম বা এরকম কোনও কিছু বলছি না, কিন্তু হারমোনিয়াস কো-একজিসটেন্স যেন থাকে৷’’
বাংলা ছবিতে তিনি অদ্বিতীয়া। সাম্প্রতিক অতীতে নারীকেন্দ্রিক বাংলা সিনেমার মুখ যদি বলা হয় তবে তিনি প্রায় একক৷ ছবির ব্যবসা যেমনই হোক না কেন, ছবিতে নারীদের নিজের কথা তুলে ধরা থেকে থেমে থাকেননি তিনি। আজ যখন বলিউড সোচ্চার তাঁদের নায়িকাদের সাফল্য নিয়ে, তখন অনেকদিন আগে থেকেই বাংলায় নায়িকা নির্ভর ছবি এবং নায়িকাদের জায়গাকে পাকা করতে সমান উদ্যমে কাজ করে চলেছেন তিনি৷
নিরলস কাজে সাফল্য কম নয়৷ তবে তাঁর সবথেকে বড় সাফল্য বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকাদের জায়গাকে ধরে রাখা৷ বাংলা সিনেমায় সাম্প্রতিক সাফল্যের দিনকালে যদি ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব কোনও কোনও নায়কের কাঁধে পড়ে, তবে সমান কৃতিত্ব তাঁরও৷
বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে একের পর এক কাজ করে ইন্ডাস্ট্রির চাকা সচল যেমন রেখেছেন, তেমনই ‘পারমিতার একদিন’ থেকে ‘দহন’ –এ প্রমাণ করে দিয়েছেন তথাকথিত অন্যধারার সিনেমাতেও সমান সাফল্য ডেকে আনতে পারেন তিনি৷ এবং অন্তত এ ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের রেকর্ড বাংলা ছবির নায়কদের কাছেও ঈর্ষণীয়৷ এবং সে ধারা তিনি এখনও সমানভাবে বয়ে নিয়ে চলেছেন৷ খুব সচেতনভাবেই বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি এমন ছবি করে চলেছেন যেখানে নারীদের চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অভিযোগ, ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা উঠে এসেছে৷
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে এই ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন অগ্নিদেব। গল্প অনুযায়ী সোহিনী (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) এবং ভাস্কর (দেবশঙ্কর হালদার) দম্পতি। কিন্তু অসুখী দাম্পত্য ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চান সোহিনী। সে সময় ভাস্করের ছোটবেলার বন্ধু অনুপম (কৌশিক সেন)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। এর মধ্যেই ভাস্করের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। কী হবে এর পর? কোন দিকে বাঁক নেবে গল্প? তাই নিয়েই এগোবে এসিনেমা। প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেবশঙ্কর হালদার এবং কৌশিক সেন।
শুটিং প্রায় দু’বছর আগে শেষ হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন