খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক :
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (১২) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি একই ইউনিয়নের নেয়াজপুর গ্রামে। ১০ বছর আগে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মারা যায়। একমাত্র মা ছাড়া তার পরিবারে কোনও অভিভাবক নেই। ৪ বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের
চিকিৎসায় কোনও কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি তাকে নেয়া হয় ফেনী সদর হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ধরা পড়ে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তীতে বাড়ি ফেরার পর স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ ঘটানার সঙ্গে জড়িত বলে জানায় মেয়েটি। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে এলাকার একটি চক্র। বিষয়টি জানাজানি হলে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে
অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছালেহ আহাম্মদ পাঠান জানান, এ বিষয়ে মামলা হলে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক আবদুল করিমকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফেনীতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে তারা।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর