1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
৩৬ দেশে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা, দ্বিগুণ হবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা: জাতিসংঘ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৫ অপরাহ্ন

৩৬ দেশে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা, দ্বিগুণ হবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা: জাতিসংঘ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস করোনায় স্থবির পুরো বিশ্ব। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন দেশে চলছে লকডাউন। সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া নিয়মও মেনে চলার চেষ্টা করছে সবাই। তবুও কোনোভাবেই আটকানো যাচ্ছে না করোনার তাণ্ডব। একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে হাজার মানুষ।

অচেনা এই ভাইরাসটির কারণে সবকিছু স্থবির হওয়ায় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে বিশ্ব। এই সংকট শেষ পর্যন্ত আঘাত হানবে মানুষের পেটে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বের ৩৬টি দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় এ বছর ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার জেনেভায় ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, করোনা সংকটের আগেই বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৩ কোটি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মহামারীর কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আরও ১৩ কোটি মানুষ চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়তে পারে। পর্যটন রাজস্ব হারানো, প্রবাসীদের আয় পাঠানো কমে যাওয়া এবং ভ্রমণসহ অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার কারণে আয় কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে সংস্থাটির নিজস্ব খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশে অন্তত ১০ কোটি মানুষকে খাদ্যের জোগান দেয় ডব্লিউএফপি।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা, মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ পরিচালক আরিফ হুসেইন বলেন, বর্তমানে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের বেশিরভাগই নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলোর বাসিন্দা। খাদ্য সংকট বিষয়ক বৈশ্বিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা সবচেয়ে বেশি মানুষ সংঘাত কবলিত দেশের বাসিন্দা। তাদের সংখ্যা প্রায় সাত কোটি ৭০ লাখ। এর পরেই রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংকটে পড়া মানুষ। তাদের পরিমাণ তিন কোটি ৪০ লাখ। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে পড়া আরও দুই কোটি ৪০ লাখ মানুষও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে।

বিশ্বজুড়ে নতুন করে যেসব মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে তাদের সহায়তার জন্য চলতি বছর ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন। গত বছরের রেকর্ড ৮ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে যা বেশি। তবে করোনার কারণে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া দেশগুলো অর্থায়ন করবে কিনা তা নিয়েও চিন্তায় পড়েছে সংস্থাটি।

আরিফ হুসেইন বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঝুঁকির মধ্যে থাকা লাখ লাখ মানুষের জন্য করোনাভাইরাস সম্ভবত বিপর্যয়কর হতে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দৈনিক মজুরি পেলেই কেবল খেতে পান এমন লাখ লাখ মানুষের জন্য এই মহামারি মারাত্মক বিপর্যয়কর। লকডাউন আর বিশ্বজুড়ে আসন্ন মন্দায় ইতোমধ্যে তাদের সামান্য সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে এই বিপর্যয় সামাল দিতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

ডব্লিউএফপি নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বেসলি বলেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব হিসেবে বিশ্বের তিন ডজন দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে পারে। ইতোমধ্যে ১০টি দেশে প্রায় ১ মিলিয়ন লোক অনাহারে দিন কাটানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। অনেক দেশে এই মানবিক সমস্যাটার কারণে নানাধরনের সহিংসতা, দ্বন্দ্ব ও বিবাদ তৈরি হতে পারে।

উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণসংহারি ভাইরাস এখনো বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৬২ জন মারা গেছেন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৪ জন।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের দেড় মাসে এই সংখ্যাটা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন শতাধিক মানুষ।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team