1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
হোয়াইট হাউস হচ্ছে 'ঝলমলে বন্দিশালা'! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন

হোয়াইট হাউস হচ্ছে ‘ঝলমলে বন্দিশালা’!

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট বাসভবন হোয়াইট হাউস। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দাফতরিক হাউসও। ওয়াশিংটন ডিসির ১৬০০ পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউতে এর অবস্থান। সেই ১৮০০ সাল থেকে ভবনটি প্রেসিডেন্ট ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রথম দিকে এই প্রাসাদের নাম হোয়াইট হাউস ছিল না। এমনকি শুরুতে এর রঙও ছিল ভিন্ন। আসুন জেনে নিই হোয়াইট হাউস সম্পর্কে এমন কিছু মজার তথ্য-

১. ১৭৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতির জনক ও প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউসের মূল নকশা অনুমোদন করেন। কিন্তু তিনি হোয়াইট হাউসে থাকার সুযোগ পাননি। ১৭৯২ সালের অক্টোবরে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১৭৯৭ সালে প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের মেয়াদ শেষ হয়। তিনি মারা যান ১৭৯৯ সালে। ১৮০০ সালে হোয়াইট হাউসের নির্মাণ কাজ মোটামুটি শেষ পর্যায়ে থাকার সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস সপরিবারে এতে বসবাস শুরু করেন।

২. ১৯০১ সালের আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের কোনো দাপ্তরিক নাম ছিল না। বিভিন্ন সময়ে একে বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। সাধারণত এক্সিকিউটিভ ম্যানশন এবং প্রেসিডেন্ট প্যালেস নামে ডাকা হতো। ১৯০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউস নামকরণ করেন।

৩. ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ সৈন্যরা হোয়াইট হাউসে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে ভবনের অভ্যন্তরের অংশ ও ছাদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই এর পুনর্র্নিমাণ আরম্ভ হয়।

৪. হোয়াইট হাউসের প্রধান বাসিন্দা মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, তারা এখানে বিনামূল্যে খাবার পান না। তাদের খাবারের বিল মাস শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি টুথপেস্ট কেনা, কাপড় ইস্ত্রি করা ইত্যাদির খরচও নিজেদের বহন করতে হয়।

৫. মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান হোয়াইট হাউসের নাম দিয়েছিলেন ‘ঝলমলে বন্দিশালা’। আরেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান এ ভবনকে আট তারকা হোটেলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

৬. নারীদের ভোটাধিকারের দাবিতে ১৯১৭ সালের জানুয়ারিতে একদল নারী হোয়াইট হাউসের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা টানা দুই বছর সেখানে অবস্থান করে।অবশেষে ১৯১৯ সালের ৪ জুন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন নারীদের ভোটাধিকার দেয়।

৭. হোয়াইট হাউস নিয়ে কিছু ভৌতিক কাহিনী প্রচলিত আছে। বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল একবার হোয়াইট হাউসের লিংকন বেডরুমে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের নগ্ন ভূত দেখতে পেয়েছিলেন। পরদিন তিনি দ্বিতীয়বার ওই রুমে থাকতে অস্বীকার করেন। হোয়াইট হাউসের কর্মীদের ‘বদৌলতে’ এ গল্পের আরও অনেক শাখা-উপশাখা শুনতে পাওয়া যায়।

৮. হোয়াইট হাউস রঙ করতে ৫৭০ গ্যালন সাদা রঙ ব্যবহার করা হয়।

৯. হোয়াইট হাউসে তিন হাজারেরও বেশি লোক পূর্ণকালীন চাকরি করেন।

১০. হোয়াইট হাউস নির্মাণে সেসময় ব্যয় হয়েছিল ২ লাখ ৩২ হাজার ৩৭২ ডলার। আর বর্তমানে এ ভবনের মূল্য দাঁড়াবে ৩৮৯ মিলিয়ন ডলার (প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা)।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST