আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আর নব্য রাজাকারের দল হেফাজত ইসলাম দেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। মাদরাসায় বসে জঙ্গি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছে। এরই অংশ হিসাবে পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদে স্থানীয় আ.লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, যারা জ্বালাও-পোড়াও করছে তারা রেহাই পাবেন না। যারা দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি মেনে নিতে পারেনি, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত তাদের দোসর বিএনপি আর নব্য রাজাকারের দল হেফাজত ইসলাম একত্র হয়ে এই নারকীয় হামলায় অংশ নিয়েছে। হেফাজত ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বিরোধী। এরা বাংলাদেশের সংবিধান মানতে চায়না, এরা দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে চায়না, এরা জাতীয় পতাকাও সম্মান করতে চায়না। এরা বাংলাদেশকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়। যার কারণে এরা কোনো ইস্যু ছাড়াই এ ধরণের হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরা রাষ্ট্রের সম্পদ নষ্ট করেছে। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, জ্বালাও-পোড়াও করেছে তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে। একজনকেও রেহাই দেয়া হবে না। আমরা প্রশাসনকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, যারা সরাসরি হামলায় জড়িত, যারা ইন্ধন দিয়েছে, যারা পরামর্শ দিয়েছে, তারা যে দলেরই হোক, যত শক্তিশালী ব্যক্তিই হোক তাদের বিচার করা হবে। তাদের কঠোর শাস্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হবে রাষ্ট্রের শক্তির কাছে কোনো শক্তিই কাজে আসবেনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় বিএনপি-জামাত জ্বালাও-পোড়াও করে বিচারকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল কিন্তু তারা পারেনি। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। যারাই এই উন্নয়ন আর অগ্রগতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেন তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল ফারুক খান এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল, জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল সাহা, সহ-সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ভোলা মাস্টার, পৌর মেয়র অমিতাব বোসসহ জেলা ও উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ।
জেএন